স্পোর্টস ডেস্ক: [২] বাংলাদেশে প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে (বিপিএল) ম্যাচ পাতানোর অভিযোগে ২০ জন ফুটবলার ও কর্মকর্তাকে বিভিন্ন মেয়াদে নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। একই সঙ্গে ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার দায়ে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘকে দুই বছরের জন্য প্রথম বিভাগে নামিয়ে দিয়েছে বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কমিটি।
[৩] ক্লাবটির অনৈতিক কার্যকলাপের প্রমাণ পেয়েছিল এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনও। এএফসির নির্দেশনা পেয়ে ক্লাবটির বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্ত করেন বাফুফে। পরে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতা নিয়ে বাফুফের পাতানো খেলা সনাক্তকরণ কমিটি স্পট ফিক্সিংয়ের প্রমাণ পায়। পরে তদন্ত প্রতিবেদন ডিসিপ্লিনারি কমিটিতে জমা দিলে তারা ক্লাবটিকে বহিস্কার করেন। একই সঙ্গে দেশি-বিদেশি ফুটবলারসহ ক্লাবটির কয়েকজন কর্মকর্তাকে বিভিন্ন মেয়াদে নিষিদ্ধ করা হয়।
[৪] ম্যাচ পাতানোর দায়ে ফুটবলে আজীবন নিষিদ্ধ হয়েছেন আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের সাবেক সভাপতি ও পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান এম স্পোর্টস এর স্বত্বাধিকারী মো. মিনহাজুল ইসলাম মিনহাজ, সাবেক টিম ম্যানেজার গওহর জাহাঙ্গীর রুশো, সাবেক ট্রেনার ভারতের মাইদুল ইসলাম শেখ ও সহকারী ম্যানেজার আরিফ হোসেন।
[৫] দশ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন ভারতের সঞ্চয় বোস (সাবেক ফিজিও) ও প্লেয়ার এজেন্ট আজিজুল শেখ। ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ থাকবেন ক্লাবটির খেলোয়াড় আপেল মাহমুদ। তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে আবুল কাশেম মিলন, আল আমিন, মো. রকি, জাহিদ হোসেন, রাহাদ মিয়া, সৈকত, শামীম রেজা, অস্ট্রেলিয়ান স্মিথকে। দুই বছরের ওমর ফারুক, রাকিবুল ইসলাম, মেহেদী হাসান ফাহাদ, মিরাজ মোল্লা ও নাইজেরিয়ান চিজোবা ক্রিস্টোফারকে নিষিদ্ধ করেছে বাফুফে। বিএফএফ, ঢাকাটাইমস
আপনার মতামত লিখুন :