তৌহিদুর রহমান: [২] ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে যাত্রীবাহী নৌকার সঙ্গে বালুবোঝাই ট্রলারের সংঘর্ষের ঘটনায় আরো একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ২০ জনের পরিচয় জানা গেছে। তাদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
[৩] শনিবার (২৮ আগস্ট) সকালে আরো একটি মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এর আগে শুক্রবার (২৭ আগস্ট) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে উপজেলার লইসকা বিলে এ নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে।
[৪] বিজয়নগর থেকে সব ধরনের ইঞ্জিনচালিত নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত নৌযানটি উদ্ধারের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চলছে। এরই মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমিনকে প্রধান করে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চালকসহ ৩ জনকে আটক করা হয়।
[৫] আটককৃতরা হলেন- জেলার সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের ষোলাবাড়ি এলাকার আবজল মিয়ার ছেলে ও ট্রলারের মাঝি জামির মিয়া (৩৫), তার সহযোগী কাশেম মিয়ার ছেলে মো. খোকন (২২) ও মৃত আব্দুল করিমের ছেলে মো রাসেল (১৮)।
[৬] পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, নৌকাটি যাত্রী নিয়ে জেলার বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের আনন্দবাজার ঘাটে যাচ্ছিলো। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা বালুবোঝাই একট ট্রলারের সঙ্গে সংঘর্ষ হলে নৌকাটি উল্টে সব যাত্রী নদীতে পড়ে যায়। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ২২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
[৭] ২০ জনের পরিচয় জানা গেছে তারা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের চিলোকুট গ্রামের আবদুল্লাহর মেয়ে তাকুয়া (৮), বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের ফতেহপুর গ্রামের জহিরুল হক ভূঁইয়ার ছেলে আরিফ বিল্লাহ (২০), একই ইউনিয়নের গেরাগাঁও গ্রামের মালু মিয়ার স্ত্রী মনজু বেগম (৬০), একই গ্রামের জজ মিয়ার স্ত্রী ফরিদা বেগম (৪০), তার মেয় মুন্নী বেগম (৬), একই ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের আবদুর রাজ্জাকের স্ত্রী মিনারা বেগম (৪২), বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামের পরিমল বিশ্বাসের স্ত্রী অঞ্জনা বিশ্বাস (৩০), তার মেয়ে ত্রিদিবা বিশ্বাস (৩), একই ইউনিয়নের গেরাগাঁও গ্রামের আবদুল হাসেমের স্ত্রী কমলা বেগম (৪৫)। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার দক্ষিণ পৈরতলার আবু সাঈদের স্ত্রী মোমেনা বেগম (৫৫), পৌর এলাকার উত্তর পৈরতলার ফারুক মিয়ার স্ত্রী কাজলা বেগম (৩৫), পৌর এলাকার দাতিয়ারা এলাকার হাজী মোবাশ্বের মিয়ার মেয়ে তাসফিয়া মীম (১২), সদর উপজেলার সাদেকপুর গ্রামের মুরাদ হোসেনের ছেলে তানবীর (৮), একই ইউনিয়নের গাছতলা গ্রামের জামাল মিয়ার ছেলে সাজিম (৭), সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের ভাটপাড়া গ্রামের জারু মিয়ার মেয়ে শারমীন (১৮), ময়মনসিংহ জেলার খোকন মিয়ার স্ত্রী ঝর্ণা বেগম (৫৫), বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের চম্পকনগর গ্রামের কামাল মিয়ার মেয়ে মাহিদা আক্তার (৫), পত্তন ইউনিয়নের মনিপুর ৪৫), ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার দক্ষিণ পৈরতলার আবু সাঈদের স্ত্রী মোমেনা বেগম (৫৫), পৌর এলাকার উত্তর পৈরতলার ফারুক মিয়ার স্ত্রী কাজলা বেগম (৩৫), পৌর এলাকার দাতিয়ারা এলাকার হাজী মোবাশ্বের মিয়ার মেয়ে তাসফিয়া মীম (১২)।
আরও রয়েছেন, সদর উপজেলার সাদেকপুর গ্রামের মুরাদ হোসেনের ছেলে তানবীর (৮), একই ইউনিয়নের গাছতলা গ্রামের জামাল মিয়ার ছেলে সাজিম (৭), সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের ভাটপাড়া গ্রামের জারু মিয়ার মেয়ে শারমীন (১৮), ময়মনসিংহ জেলার খোকন মিয়ার স্ত্রী ঝর্ণা বেগম (৫৫), বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের চম্পকনগর গ্রামের কামাল মিয়ার মেয়ে মাহিদা আক্তার (৫), পত্তন ইউনিয়নের মনিপুর গ্রামের মৃত আব্দুল বারীর ছেলে হাজী সিরাজুল ইসলাম (৫৮), একই ইউনিয়নের বড় পুকুরপাড় এলাকার সোলমান মন্সীর স্ত্রী রবিনা বেগম (৪০), ময়মনসিংহ জেলার গৌরিপুর উপজেলার রামগোয়ালপুর ইউনিয়নের ওড়াকোনা গ্রামের শাওন মিয়ার ছেলে সাজিদ (৩) ও একজন যুবকের (২৩) পরিচয় জানা যায়নি। সম্পাদনা: হ্যাপি