শিরোনাম
◈ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি: কী পাচ্ছে বাংলাদেশ, কী হারাতে পারে? ◈ রাতেই সোহরাওয়ার্দীতে জড়ো হচ্ছেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা (ভিডিও) ◈ চাপাতি হাতে ব্যাগ ছিনিয়ে পুলিশের সামনেই হেঁটে গেলো ছিনতাইকারী, ভিডিও ভাইরাল ◈ রাশিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত ভারতের বৃহত্তম তেল শোধনাগার নায়ারা রিফাইনারির ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা ◈ রাতের আকাশে ভেসে উঠলো ‘নাটক কম করো পিও’ (ভিডিও) ◈ জটিল ভয়ানক যে রোগে আক্রান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প! ◈ কুড়িগ্রামে চাঁদা দাবি করা জামায়াতের সেই নেতা সাময়িক বহিষ্কার ◈ বড়াইগ্রামে এক বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে দুই বিষয়ে দুই পরীক্ষার্থী ফেল! ◈ টাঙ্গাইলে পুলিশ হেফাজতে বিএনপি নেতার রহস্যজনক মৃত্যু ◈ এনসিপি’র মার্চ টু গোপালগঞ্জ তলিয়ে দেখা দরকার: শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি

প্রকাশিত : ২৬ আগস্ট, ২০২১, ০১:৩৬ রাত
আপডেট : ২৬ আগস্ট, ২০২১, ০১:৩৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সুজিত মোস্তফা: জীবন একমুখী না করে সবদিক দিয়ে পরিপূর্ণ করার একটা চেষ্টা থাকুক

সুজিত মোস্তফা: ফেসবুকে মাঝেমধ্যে এটা, ওটা, সেটা লিখি। মাঝেমধ্যে হালকা কিছু কথা, কখনোবা ভারী কোনো বিষয়। হাজারো মানুষ লিখছে। কিছু মানুষ নিজের পছন্দমত পড়ছে। এসব লেখায় যতোই সমাজচিন্তা বা ব্যতিক্রমী কোনো শুভ পরামর্শ থাকুক না কেন, এগুলোর প্রতিক্রিয়ায় কোনো ভালো কিছু ঘটেছে বা ঘটছে এমনটা লক্ষ্য করিনি। ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে খুব বিশ্বাসযোগ্য ভঙ্গিমায় অতি মিথ্যা কথন, অতিরঞ্জণ, সম্পূর্ণ বেঠিক ধারণা প্রচারেরও ব্যাপক উদ্যোগ লক্ষ্য করেছি। কী গ্রহণ করবো আর কী করবো না সেটা নিয়ে এই বয়সেও কনফিউজড্ হয়ে যাই। তবুও পড়ি, তবুও লিখি। কারণ?

কারণ এটা অনেকটা মাদকাসক্তির মতো। কিছু মানুষকে এটা লাইক এবং কমেন্ট পাবার জন্য উন্মাদ করে তুলেছে। কিছু মানুষ বিশ্বের তাবৎ খবর এবং বিচিত্র বিষয় দেখতে, শুনতে, জানতে আগ্রহী। প্রতিক্ষণে ছোট্টো একটা মোবাইল সেটে হাত দিয়ে জানতে ইচ্ছে করে কোথায় কী ঘটলো বা কে কী আপলোড করলো। সংষ্কৃতি স্বাভাবিক নিয়মেই বিবর্তিত হয়। এটাও একটা সংষ্কৃতি। এই উপমহাদেশে চায়ের প্রচলণ ছিলো না। সেটা বৃটিশদের থেকে আমরা আমদানি করেছি। চা এখন আমাদের সংস্কৃতির একটা অঙ্গ। এটি স্নায়ুকে সতেজ করে, বিভিন্ন ধরনের চা বিভিন্ন গুণাবলীর কারণে ব্যবহৃত হয়। এর অতি ব্যবহারে বিপদও ঘটে। সিগারেটও একসময় আবিষ্কার হলো। এটা যে অতি ক্ষতিকর একটা অভ্যাস জানার পরও মানবজাতি এটাকে সম্পূর্ণ পরিত্যাগ করতে পারে নাই। মদ, কার্বোনেটেড ড্রিংক্স সবই যতোটুকু উপকারী তারচেয়ে বেশি ক্ষতিকর। তবু সেগুলো মনুষ্যসমাজে চলছে। কে ছাড়বে, কে পরিমিতির মধ্যে থাকবে সবই প্রত্যেকের একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার। আরও অনেক অভ্যাস, অনেক খাদ্য রয়েছে যেগুলোর প্রকৃত গুণ এবং দোষ ক্রমান্বয়ে আবিষ্কৃত হচ্ছে। অনেক ধারণা পাল্টেও যাচ্ছে। একসময় জানতাম ডিমের হলুদ অংশ হার্ট এবং প্রেশারের রোগীর জন্য খারাপ। এখন জানছি দিনে দুটো বা তারো বেশি ডিম হলুদ অংশ সহ খেয়ে ফেললেও লাভই বেশি। এই ধারণাও কখন পাল্টে যাবে কে জানে। গাঁজার মতো নিষিদ্ধ একটি আইটেম অনেক উন্নত দেশে এখন বৈধ করে দেওয়া হয়েছে। অতএব, ধারণা পাল্টাবেই। একটা ধারণা পাল্টাবেনা বলে আমি বিশ্বাস করি যদিও আমার বিশ্বাসে কারো কিছু আসবে যাবে না। সবাই জানেন তবুও বলি। অতিরিক্ত যেকোনো কিছুই খারাপ। অতএব, পরিমিতি জ্ঞানের মধ্যে থাকার দায়িত্ব আপনার। জীবন একমুখী না করে সবদিক দিয়ে পরিপূর্ণ করার একটা চেষ্টা থাকুক। জীবন তাহলেই হয়তো সঠিক অর্থে আনন্দময় হয়ে উঠবে। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়