আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২]দেওয়া হবে সব নাগরিক সুবিধা, সাধুবাদ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র [৩] মিয়ানমারের নির্বাসিত সরকার এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো রোহিঙ্গাদের অধিকার সুরক্ষার প্রতি সমর্থন জানিয়ে বিবৃতি দিলো। এর আগের দু দফায় তারা বলেছিলো, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে রোহিঙ্গা গণহত্যার মামলায় সব ধরনের সহযোগিতা করবে এনইউজি। পরেরটিতে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের নাগরিকত্ব দেওয়া, তাদের মর্যাদার সঙ্গে রাখাইনে ফেরানো, তাদের ওপর নৃশংসতার বিচারের নিশ্চয়তা দেওয়ার পাশাপাশি তাদেরকে এনইউজির সঙ্গে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিলো। এবারই প্রথম জোর দেওয়া হলো নাগরিকত্ব আইন বদলানোয়। রয়টার্স
[৪] বিবৃতিতে মিয়ানমারের নির্বাসিত সরকার অঙ্গীকার করেছে, রোহিঙ্গাসহ অন্য নৃতাত্তি¡ক গোষ্ঠীগুলোর ওপর সেনাবাহিনী পরিচালিত নৃশংসতার ন্যায়বিচার নিশ্চিতের চেষ্টা চালিয়ে যাবে তারা। তারা বলছে, চার বছর আগে রোহিঙ্গাদের ওপর নারকীয় নৃশংসতা চালানো হয়েছিল। ওই নৃশংসতার মধ্য দিয়ে তাদের বিপুলসংখ্যক প্রতিবেশী দেশে যেতে বাধ্য করার ঘটনায় এনইউজি গভীরভাবে মর্মাহত। রেডিও ফ্রি এশিয়া
[৫] বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘আমরা বিশ্বাস করি, ১৯৮২ সালের নাগরিকত্ব আইন বাতিল করে একটি নতুন আইন চালু করা যায়। যেটার ভিত্তি হবে মিয়ানমারের নাগরিক কিংবা যেকোনো জায়গায় মিয়ানমারের নাগরিকের ঘরে জন্মানো কেউ নাগরিক বিবেচিত হবেন। এ ছাড়া প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়ার সময় নাগরিকত্ব যাচাইয়ের কার্ড দেওয়া বাতিল করার মধ্য দিয়ে এই সমস্যার সমাধান হবে।’
[৬] যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র নেড প্রাইস এক বিবৃতিতে বলেন, ‘রোহিঙ্গাসহ মিয়ানমারের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানবাধিকার নিশ্চিতে এই ঘোষণা জরুরি ছিলো।’