মনিরুল ইসলাম: [২] বেদখলে থাকা বন বিভাগের ৫ হাজার ৬৩৯ দশমিক ১৩ একর ভূমি উদ্ধার করা হয়েছে। গত ১১ মাসে এ বনভূমি উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি উদ্ধার করা ভূমিতে বনায়ন করা হয়েছে।
[৩] সোমবার (২৩ আগস্ট) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
[৪] কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে অন্যদের মধ্যে কমিটির সদস্য পরিবেশন, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, নাজিম উদ্দিন আহমেদ, জাফর আলম, মো. রেজাউল করিম বাবলু, খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন এবং মো. শাহীন চাকলাদার অংশ নেন।
[৫] বৈঠকে বন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে আগামী দুই বছরে ১০ হাজার করে আরো ২০ হাজার একর ভূমি উদ্ধারের পরিকল্পনার কথা জানানো হয়। অবশ্য কমিটি উদ্ধার কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করলেও দুই বছরের উদ্ধার পরিকল্পনা ২০ হাজারের স্থলে বাড়িয়ে ৫০ হাজার করার পরামর্শ দিয়েছে।
[৬] বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, সংসদীয় কমিটির তৎপরতায় বন বিভাগ বেদখলে থাকা জমি উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। গত বছর অক্টোবর থেকে তারা এ পর্যন্ত পাঁচ হাজার একরের মতো ভূমি উদ্ধার করেছে। পাশাপাশি তারা উদ্ধার করা ভূমি বনায়ন করেছে। তারা আগামী দুই বছরে ২০ হাজার একর জমি উদ্ধারের একটি কর্মপরিকল্পনা আমাদের দিয়েছে। আমরা সেটা অন্তত ৫০ হাজার একর করতে বলেছি। এজন্য কোন কোন ধরনের লজিস্টিক সাপোর্ট দরকার হবে তা জানাতে বলেছি।
[৭] জানা গেছে, বন বিভাগের মোট বেদখল জমি দুই লাখ ৫৭ হাজার ১৫৮ একর। বর্তমানে বন বিভাগের জমি উদ্ধারে জেলা প্রশাসনের উচ্ছেদ মামলা ১৩টি, নিম্ন আদালতে দেওয়ানী মামলা ৮৫২টি, উচ্চ আদালতে রিট ১১২টি, উচ্চ আদালতে আপিল মিস মামলা ৮৭টি চলমান রয়েছে। এছাড়া জেলা প্রশাসনে পাঠানো উচ্ছেদ প্রস্তাব সাত হাজার ৯টি, পিও আর মামলা সাত হাজার ৫৩২টি, অন্যান্য ব্যবস্থায় ছয় হাজার ১৩০টি মামলা রয়েছে। সম্পাদনা: মিনহাজুল আবেদীন।