লিহান লিমা: [২] একটি জাতি-নির্মাণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় দুই দশকের যুদ্ধের অবসান ঘটেছে চরম অপরিকল্পিত ও বিশৃঙ্খল অবস্থায়। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন মার্কিন সামরিক বাহিনীর ‘সীমাবদ্ধতা’ চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়েছে আফগানিস্তান। আল জাজিরা
[৩] যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি বেøয়ার কাবুলের পতনের পর আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারকে ‘দুঃখজনক, বিপজ্জনক এবং অপ্রয়োজনীয়’ বলে মন্তব্য করে বলেন, ‘আজীবনের যুদ্ধের সমাপ্তির মতো একটি গ্লোগান শেষ করার জন্যই কেবল এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ’
[৪] ব্লেয়ার আরো বলেন, ‘আফগানিস্তান ইস্যুতে শুরু থেকেই কৌশলগত ভুল ছিলো। কিন্তু ভুল শোধরানোর প্রক্রিয়ায় আরো বড় ভুল করা হয়েছে। গত ২০ বছরে সত্যিকার অর্থেই যেটুকু অর্জিত হয়েছিলো তা এখন হারানোর মুখে। এতে জিহাদী গোষ্ঠিগুলো উল্লাস করবে। রাশিয়া, চীন ও ইরান সুবিধা নেবে। পশ্চিমা নেতাদের দ্বারা বলা প্রতিশ্রæতিগুলো এখন আর অন্য দেশগুলো মূল্যায়ন করবে না।’
[৬] জর্জ ডবিøউ বুশ এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন টুইট বার্তায় বলেন, ‘ট্রাম্প বাইডেনের সৈন্য প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত সবচেয়ে বড় ভুল। বেইজিং ও মস্কো হাসছে। তেহরান ও পিয়ংইয়ং দেখেছে চরম শত্রুকে পরাজিত করার মার্কিন সক্ষমতা কতটা দুর্বল।’ বিবিসি
[৭] সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও কাবুল বিমানবন্দরের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ে বাইডেনকে একহাত দিয়ে বলেছেন, ‘এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় পরাজয়। আফগানিস্তান থেকে বাইডেনের বোকামি প্রস্থান কোনো জাতির নেতার দ্বারা হওয়া সবচেয়ে জঘন্য অযোগ্যতার নিদর্শন।’ যদিও ট্রাম্প প্রশাসনই তালেবানের সঙ্গে মার্কিন সৈন্য সরিয়ে নেয়ার আলোচনা শুরু করেছিলো।
আপনার মতামত লিখুন :