খান আসাদ: সেই পুরনো আওয়ামী ‘গুন্ডামি’। আওয়ামী গুন্ডামোর একটি প্যাটার্ন আছে। ‘দলে-বলে’ চলা। ‘দলে-বলে’ মানে গ্রুপে, দলের বলে বা ক্ষমতায় চলা। রাজনীতির শিক্ষা না থাকলে যা হয় আরকি। দল লাগে পেশীশক্তি দেখাতে। মগজের শক্তি কম থাকলে কী আর করা, পেশীশক্তিই ভরসা। দিন পাল্টেছে। এখন এমন কোনো বিরোধী শক্তি নেই যে তাদের সঙ্গে গুন্ডামিটা করা যায়। ফলে, নিজেদের মধ্যেই গুন্ডামির চর্চা। আওয়ামী ‘গুন্ডামি’ কিন্তু একটি কনসেপ্ট। সম্ভবত আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশের যেখানে সামন্ত সংস্কৃতির অবশেষ এখনো প্রধান, সেখানেই দেখা যায়। এই ‘গুন্ডামিটা’ আপনি এখন ধর্মজীবীদের মধ্যে দেখবেন, কোন দল সরকারে গেলে সেই দলের কর্মীদের মধ্যেও দেখবেন, যেমন এরশাদ সাহেবের ও জিয়া জাতীয়তাবাদীদের ছাত্র সংগঠনের ‘গুন্ডামি’ও আমরা দেখেছি। এই গুন্ডামির আরেকটি দিক কাপুরুষতা। একা দাঁড়ানোর সাহস নেই, একা নিতান্তই ভিতু।
কেবল যূথবদ্ধ হোলেই এদের সাহস। অনেকটা হায়েনার মতো। সরকারি পদ বা পুলিশের পোশাক পরলেও তারা এই মৌলিক ‘গুন্ডামির’ চরিত্র বহাল রেখে চলেছে। লিখতে লিখতে মনে পরে গেল জিন্স ও ফতুয়া পরা পরীমনিকে নিয়ে যাওয়া সরকারী পুলিশ বাহিনীর ছবি। গুন্ডামির যূথবদ্ধতার ক্ষেত্রে একটি মিল আছে। এই ‘গুন্ডামি’ থেকে অনেক লোক ফায়দা নেয়। এই গুন্ডামির দিন ফুরিয়ে আসছে, কারণ এখন গুন্ডামির ‘মনোপলি’ রাষ্ট্রীয় বাহিনীর দখলে। সেটা কেন, বুঝতে হলে, পেশী নয়, মগজের শক্তি দরকার। দুঃখের ব্যাপার আওয়ামী গুন্ডামিতে যুক্ত ছেলেপেলেদের মগজের শক্তি বেশ দুর্বল, অনুশীলনের অভাবে। মগজের শক্তি বাড়ানোর জন্য, নীচের বইটি প্রেস্ক্রাইব করছি। ফেসবুক থেকে