সুজন কৈরী : [২] ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের ঝিলমিল এলাকায় র্যাব-১০ এর সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত দুই যুবকের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন সজীব ও তাজুল ওরফে তাজেল মিয়া। তাদের মৃত্যুর খবরে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ এলাকার স্থানীয়রা আনন্দ-উল্লাস করেছেন। মিস্টিও বিতরণ করেছেন।
[৩] র্যাব বলছে, নিহত সজিব ও তাজুলরা পাঁচ ভাই। একজন দীর্ঘদিন আগে মারা গেছেন। আরেকজন এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন। বাকি একজন হচ্ছেন রাজিব। তারা তিন ভাই মিলে এলাকায় চুরি, ডাকাতি-ছিনতাই ও খুন করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন। তাদের এই ডাকাত দল ঢাকা মাওয়া হাইওয়ে এলাকায় নিয়মিত ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
[৪] র্যাব-১০এর এএসপি (অপস. অফিসার) এনায়েত কবির সোয়েব জানান, নিহত সজীবের নামে ২টি ডাকাতির প্রস্তুতি, ১টি ডাকাতি, ১টি অস্ত্র ও ১টি হত্যা মামলা রয়েছে। সজীব দিনে-দুপুরে অটোরিকশা ছিনতাই করতেন। এরপর অটোরিকশা মালিকের কাছ থেকে টাকা আদায় করতেন এবং না পেলে মালিককে মারধর করতেন। তার বিকাশে খোঁজ নিলে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ লাখ্ টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া যাবে।
[৫] এছাড়া তাজুলের নামে মোট ৭টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ২টি হত্যা, ১টি অস্ত্র, ২টি ডাকাতির প্রস্তুতি, ২টি মাদক মামলা। কেরাণীগঞ্জের ঝিলমিল প্রকল্প এলাকায় মোটর সাইকেল, সিএনজি, অটোরিকশা, ছিনতাই-ডাকাতি করা ছিল তাজুলের নেশা ও পেশা। র্যাব আরও জানিয়েছে, পলাতক রাজিবকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
[৬] র্যাব জানিয়েছে, সোমবার রাতে ঝিলমিল আবাসিক এলাকায় একদল ডাকাত ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে, এমন খবরে র্যাব অভিযান চালায়। র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে ডাকাতরা গুলি করে। আত্মরক্ষার্থে র্যাবও পাল্টা গুলি করে। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ দুই যুবককে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে রাত সাড়ে ৩টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
র্যাব বলছে, অভিযানকালে ডাকাত দলটির সদস্যদের ছোড়া গুলিতে র্যাবের তিন সদস্য আহত হয়েছে। তারা হলেন- এএসআই শফিকুল ইসলাম, নায়েক জাকিরুল ইসলাম ও কনস্টেবল মশিউর রহমান। তাদের হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।