সোহেল মিয়া: [২] পদ্মা নদীর পানি দুটি পয়েন্টে এখন বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রাজবাড়ীর তিনটি পয়েন্টের মধ্যে দুটিতে বিপৎসীমার ওপর এবং একটিতে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
[৩] বুধবার (১৮ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিস সহকারি মো: আবুল কালাম আজাদ।
[৪] তিনি বলেন, রাজবাড়ীর তিনটি পয়েন্ট হলো পাংশার সেনগ্রাম, গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ও সদরের মহেন্দ্রপুর। এরমধ্যে পাংশার সেনগ্রাম পয়েন্টে ১১ দশমিক ৫৬ সেন্টিমিটার, সদরের মহেন্দ্রপুরে ৯ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার এবং দৌলতদিয়া পয়েন্টে ৮ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। যা দশমিক ৫৯ সেন্টিমিটার এবং গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া পয়েন্টে দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর সদরের মহেন্দ্রপুরে দশমিক ২০ সেন্টিমিটার পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
[৫] রাজবাড়ীর তিনটি পয়েন্টের স্বাভাবিক পানি ধরা হয় পাংশার সেনগ্রামে ১০ দশমিক ৯৭ সেন্টিমিটার, সদরের মহেন্দ্রপুরে ৯ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার ও গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া পয়েন্টে ৮ দশমিক ৬৫ সেন্টিমিটার।
[৬] এদিকে পদ্মার পানি বৃদ্ধি পাওয়া ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ভাঙনের চরম ঝুঁকিতে পড়েছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের রাজধানী ঢাকার সাথে যোগাযোগের অন্যতম দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটটি। পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও টিউব দিয়ে ভাঙন রক্ষার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছে ভাঙনরোধে। স্থানীয়রা বলছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভাঙনরোধ করার চেষ্টা অপরিকল্পিত। যার কারনে কোন কাজই হচ্ছেনা। শুধু শুধু সরকারের টাকা অপচয় হচ্ছে। পরিকল্পনা করে তারপর স্থায়ীভাবে কাজ করার দাবি সংশ্লিষ্টদের।
[৭] এ বছরের পদ্মার ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট। এরই মধ্যে সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে লঞ্চঘাটের একটি পন্টুনও। কিন্তু বুধবার ( ১৮ আগস্ট) ভোর থেকে লঞ্চঘাট এলাকায় আবারো ভাঙনের তান্ডব চালিয়েছে উত্তাল পদ্মা নদী।
[৮] ভোর থেকে ভাঙনে লঞ্চঘাট এলাকার প্রায় ৩০ মিটার অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। নদীর তীরবর্তী এলাকা থেকে সরিয়ে নিতে শুরু করেছে বেশ কিছু ঘরবাড়ী। বর্তমান মারাত্বক হুমকির মধ্যে রয়েছে দৌলতদিয়া প্রান্তের লঞ্চ ঘাটটিও। যে কোন মুহূর্তে বন্ধ হয়ে যেতে পারে লঞ্চ ঘাটটি।
[৯] বর্তমান পদ্মার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে নদী পারের শতশত মানুষ। নদী ভাঙনের চরম হুমকিতে রয়েছে রাজবাড়ী শহররক্ষা বাঁধ ও দৌলতদিয়া ফেরি ও লঞ্চঘাট। পানি উন্নয়ন বোর্ড তরিঘরি করে ভাঙন রোধ করার চেষ্টা চালালেও তা অপরিকল্পীত বলে দাবি ভুক্তভোগীদের। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ