অহিদ মুুকুল : [২] নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ভাসানচর থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় রোহিঙ্গা বোঝাই ট্রলারডুবির ঘটনায় আব্দুল হাফেজ (১০) নামে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে নৌবাহিনী।
[৩] শিশু আব্দুল হাফেজ ভাসানচর আশ্রায়ন প্রকল্প-৩ এর ক্লাস্টার ৫৪ এর বাসিন্দা আমির হামজার ছেলে।
[৪] রোববার (১৫ আগস্ট) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নোয়াখালী জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম।
[৫] তিনি বলেন, ‘সকাল হতে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার ও বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ বঙ্গোপসাগর এলাকায় উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেছে। উদ্ধার অভিযানে আব্দুল হাফেজ নামে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
[৬] তিনি আরও বলেন, ‘লাশটি ভাসানচর থানা হেফাজতে আছে। প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে।’
[৭] এদিকে, ট্রলারডুবির ঘটনায় আবদুর রহমান (৩২) নামের জীবিত আরেক রোহিঙ্গার সন্ধান পাওয়া গেছে। তিনি চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার কেরানীরহাটে এক ব্যক্তির আশ্রয়ে আছেন। এ পর্যন্ত ১৫ জন জীবিত এবং ১ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ট্রলারডুবির ঘটনায় আবদুর রহমানের পাঁচ সন্তানসহ এখন পর্যন্ত নিখোঁজ ২১।
[৮] জীবিত উদ্ধার হওয়া আবদুর রহমান বলেন, ‘দালালের মাধ্যমে স্ত্রীর গয়না বিক্রির ১১ হাজার টাকা দিয়ে কক্সবাজারের কুতুপালং যাওয়ার জন্য চুক্তি করেন। সে অনুযায়ী শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ট্রলারে ওঠেন তিনি, তার স্ত্রী ও পাঁচ সন্তান। রাতে ট্রলারটি চলার একপর্যায়ে বৈরি আবহাওয়ায় সাগরে উল্টে যায়। তখন তিনি, তার স্ত্রী ও সন্তানসহ ট্রলারের সবাই সাগরে ডুবে যান।
[৯] সাগরের ঢেউয়ের তোড়ে একেকজন একেক দিকে হারিয়ে যান। তাকে ভাসতে দেখে একটি ফিশিং ট্রলারের জেলেরা উদ্ধার করে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া এলাকার কাছে নামিয়ে দিয়েছেন।’ পরে তিনি কেরানীরহাট এলাকার এক ব্যক্তির বাড়িতে আশ্রয় নেন।
[১০] ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, নৌকাডুবির পর আশপাশের মাছ ধরার নৌকায় থাকা জেলেরা ১৪ জনকে উদ্ধার করে ভাসানচরে পৌঁছে দিয়েছে। তারা জানিয়েছে নৌকায় ৩৭ থেকে ৩৮ জন ছিল। আজকে একটি শিশুর লাশ ও একজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
[১১] প্রসঙ্গত, শুক্রবার (১৩ আগস্ট) গভীর রাতে ভাসানচর থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে রোহিঙ্গা বোঝাই একটি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে।