শিরোনাম
◈ চট্টগ্রাম বন্দরে সাইফ পাওয়ার টেকের যুগের অবসান, এনসিটির দায়িত্বে নৌবাহিনী ◈ ১ ট্রিলিয়ন ডলারের খনিজের খেলায় তালেবান, পেছনে চীন-রাশিয়া-ইরান-ভারত! ◈ পাকিস্তানকে ঠেকাতে গিয়ে ভারতে বন্যা, তোপের মুখে কঙ্গনা (ভিডিও) ◈ ৫ আগস্ট লক্ষ্য ছিল গণভবন, এবার জাতীয় সংসদ: নাহিদ ইসলাম (ভিডিও) ◈ গাজীপুরে মহানগর বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার ◈ দেশের জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় জনগণ ঐক্যবদ্ধ : মির্জা ফখরুল ◈ রেস্ট হাউজে ‘নারীসহ’ ওসি, আটক করে ‘চাঁদা দাবি’ ছাত্রদল নেতার, সিসিটিভির ফুটেজ ফাঁস ◈ আর একটি হত্যাকাণ্ড ঘটলে সীমান্ত অভিমুখে লংমার্চ: হুঁশিয়ারি নাহিদ ইসলামের ◈ ধামরাইয়ে ঋণ দেওয়ার কথা বলে গৃহবধুকে ধর্ষণ, আসামী গ্রেফতার ◈ গাজীপুরে চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেফতার বিএনপি নেতা স্বপন

প্রকাশিত : ১৩ আগস্ট, ২০২১, ০২:৫৫ দুপুর
আপডেট : ১৩ আগস্ট, ২০২১, ০২:৫৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দীপক চৌধুরী: ‘ঠাকুর ঘরে কে.. .. রে, আমি কলা খাই না’

দীপক চৌধুরী: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিভিন্ন বক্তব্যে প্রমাণ হয় দলটি মিথ্যার বেসাতি ছাড়া কিছুই করতে জানে না। কোনোকালেই জনগণের দাঁড়ানোর চিন্তা ছিলো না দলটির। জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস সুতরাং তাদের সম্মান দেখানো দরকার এটি বিএনপির অভিধানে নেই। গণমাধ্যমে দেখলাম, মির্জা ফখরুল শেষ পর্যন্ত ‘ওয়ান ইলেভেনের’ গল্প ছেড়েছেন বাজারে। আসলে ওয়ান ইলেভেন কেনো এলো তা কিন্তু কারো অজানা নয়। আমরা এই প্রবাদটি বহুবার ব্যবহার করেছি। ‘ঠাকুর ঘরে কে রে? উত্তর আসে, আমি কলা খাই না।’ বিএনপি যখন দেখলো, ২১ আগস্ট হত্যাযজ্ঞ চালিয়েও কাজ হয়নি তখন বিকল্প রাস্তা দরকার। শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার কোনোস পরিকল্পনাই যখন কাজে আসেনি তখনই তাদের সমমনা দলের পরিকল্পনায় নতুন এশটি নকশা চালু করলো। ‘ওয়ান ইলেভেন’ কীভাবে গণতন্ত্রকে নষ্ট করছে তা আমরা সকলেই জানি। তবে হাঁ এটাও তো স্বীকার করতেই হয় যে, এক কোটি ভুয়া ভোটার তারা শনাক্ত করে বাদ দিয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের দীর্ঘদিনের উদ্দেশ্য ছিল- এদেশে এক কোটি তেইশ লাখ ভুয়া ভোটার সৃষ্টি করে জনগণের সঙ্গে তামাশা করা। এটিই ইচ্ছে ছিল বিএনপির। দেশের জনগণ ভাল করেই জানে, প্রেসিডেন্ট ইয়াজউদ্দিনকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান বানিয়ে প্রহসনের নির্বাচন করতে চেয়েছিল তারা? বিএনপি-জামায়াত সরকার বিচারপতি হাসানকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান বানাতে বিচারপতিদের বয়স বাড়িয়েছিল? কিন্তু ষড়যন্ত্র করে লাভ হয়নি। ২০০৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর নেতৃত্বে মহাজোটকে জনগণ অভূতপূর্ব গণরায় দেয়।

মির্জা ফখরুলের অভিযোগের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যথার্থ বলেছেন, “ওয়ান ইলেভেন সরকারের ধারাবাহিকতা নয়, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন তৎকালীন সরকার ছিল জনগণের সরকার। বিএনপির অপরাজনীতি ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন ও ভোটে নির্বাচিত সরকার।” এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের আরো বলেছেন, “সমালোচনার নামে ঢালাও মিথ্যাচারের প্রতিযোগিতায় নেমেছে বিএনপি। তারা ভেবেছিল ভ্যাকসিন সংগ্রহে সরকার ব্যর্থ হবে। তারা তাদের সীমাবদ্ধ জ্ঞান দিয়ে শেখ হাসিনার সরকারকে মূল্যায়ন করতে চেয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার অনন্য কূটনৈতিক দক্ষতা এবং মানবিক নেতৃত্বে সরকার ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করেছে। টিকা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর বিএনপির অপকৌশল আবারও ব্যর্থ হওয়ায় তারা গৃহকোণ থেকে নৈরাজ্য সৃষ্টির লক্ষ্যে কাল্পনিক অভিযোগ তুলছে। নির্লজ্জভাবে মিথ্যা অভিযোগ তোলা বিএনপির নিত্যনৈমিত্তিক কর্মসূচিতে পরিণত হয়েছে। আর তাদের এই ঢালাও মিথ্যাচার-ষড়যন্ত্রের বিপরীতে শেখ হাসিনার জনকল্যাণমূলক কর্মপরিকল্পনাই প্রতিবাদের মোক্ষম অস্ত্র।”

আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী। এদেশের চারবারের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর দূরদর্শীতাই এর একমাত্র কারণ। তিনি মানুষের ভরসাস্থল। ইতিহাস সাক্ষ্য দিচ্ছে, গণতন্ত্রের আজীবন সাধক ছিলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি হয়ে উঠেছিলেন বিশে^র নির্যাতিত মানুষের নেতা। পিতার মতোই শেখ হাসিনা হয়ে উঠছেন, নির্যাতিত মানুষের নেতা, দুঃখী ও অসহায় মানুষের নেতা। তা না হলে কী আশ্রয়ণ প্রকল্পে দরিদ্র-নিঃস্ব মানুষেরা ঘর পেতেন?
এটা শোকের মাস। বাঙালির অভিভাবক হারানোর মাস। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রকৃতপক্ষেই মানুষের বন্ধু ছিলেন। তিনি হয়ে উঠেছিলেন বঙ্গবন্ধু। মানুষের বেদনা-কষ্ট-দুঃখ বোঝার ক্ষমতা ছিল তাঁর। তখন তো কেবল দেশ স্বাধীন হয়েছে। এরমধ্যেই রাজনীতির নামে এক শ্রেণির নেতা অযৌক্তিক বক্তৃতা, মিথ্যা তথ্য ছড়াতেন। তৎকালীন সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে নানারকম গুজব সৃষ্টি করতেন তারা। একশ্রেণির লোকের একমাত্র কাজ ছিল জনগণকে ক্ষেপিয়ে তোলা। তাদের ইচ্ছা ছিল কীভাবে অবাস্তব ও মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে বঙ্গবন্ধু সরকারের মন্ত্রী নেতাদের বিতর্কিত করা যায়। কিন্তু বঙ্গবন্ধু মোটেই কঠোর হতেন না। তিনি তাদের সংশোধনের সুযোগ দিতেন। অন্ধভাবে মানুষকে বিশ্বাস করতেন, ভালবাসতেন। বাংলাদেশের বাঙালিরা তাঁকে হত্যা করতে পারে তা ছিল কল্পনাতীত। ১৯ আগস্ট, ১৯৭২-এ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দ্বিতীয় জাতীয় সম্মেলন উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান ভাষণে এক জায়গায় বলেছিলেন, ‘‘একদল লোক আছে বড় বড় বক্তৃতা করে। চুরি করে, হাইজ্যাকের গাড়িতে চড়ে। ঢাকায় বাড়ি করে থাকে। উপার্জনের কোনো হদিস নাই। কোত্থেকে পয়সা পায়, কোত্থেকে খায়, বড় গাড়িতে চড়ে, বড় বাড়িতে থাকে। আর অন্যদিকে লম্বা চওড়া বক্তৃতা করে। সেজন্য বলছি, আত্মসমালোচনা করে আত্মসংযম অভ্যাস করো। তাহলে মানুষ হতে পারবে। তোমাদের ছাত্রলীগ বড় সংগ্রামী প্রতিষ্ঠান। .. .. .. ..’’

দুষ্ট শ্রেণির লোক কিন্তু এখনো আছে। সমাজের নানাস্তরের রাজনীতিতে, ব্যবসায়, অধ্যাপনায়, প্রশাসনে তাদের দেখা যায়। তারা মিশে আছে নানান কৌশলে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের আশাপূরণ করে দেশ চালাচ্ছেন এটা ওদের অন্তর্জ¦ালার কারণ। সুতরাং আমাদের সবাইকে সাবধান ও সতর্ক থাকতে হবে।

লেখক : উপসম্পাদক, আমাদের অর্থনীতি, সিনিয়র সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়