সমীরণ রায়: [২] বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা বলেন, সরকার করোনা মোকাবেলাসহ সর্বক্ষেত্রে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতি, দুঃশাসনে মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে। তাই নন ইস্যুকে সামনে এনে জনগণের দৃষ্টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করা হচ্ছে। সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতেই নায়িকা পরিমণি ও অন্যান্য মডেলসহ নারীদের চরিত্র হনন, সম্ভ্রমহানি ও নানা কল্পকাহিনী ছড়ানো হচ্ছে।
[৩] নেতারা আরও বলেন, নাগরিকের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা, ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা করা সাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রের দায়িত্ব। অথচ তা না করে রাষ্ট্র প্রশাসন ও পুলিশ গ্রেফতারকৃত পরিমনিসহ অন্যদের সম্পর্কে মর্যাদাহানিকর বক্তব্য দিচ্ছে। কতিপয় মিডিয়ায়ও তাদের সম্পর্কে অপপ্রচার চালাচ্ছে। অপরাধ প্রমাণের আগেই তারা মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার হচ্ছে। এতে সমাজে নারীদের সম্পর্কে বিরূপ মনোভাব সৃষ্টি হবে এবং নারী ইস্যুকে মৌলবাদী ধর্মান্ধ শক্তির হাতেই অস্ত্র তুলে দেওয়া হবে। ক্যাসিনো-মাদক ব্যবসায়ী ও পর্ণোগ্রাফির পৃষ্ঠপোষক মাফিয়া গডফাদার ও সিন্ডিকেটের হোতাদের গ্রেফতার ও বিচার দাবি জানান নেতারা।
[৫] তারা বলেন, সরকার করোনা মোকাবেলায় স্বাস্থ্যবিধি, টেস্ট, চিকিৎসা এবং টিকা সংগ্রহ ও প্রয়োগে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। করোনা চিকিৎসা ও টিকা নিয়ে অব্যবস্থাপনা, পরিকল্পন ও সমন্বয়হীনতা, নৈরাজ্য সৃষ্টি এবং দুর্নীতির জন্ম দিয়েছে। গণটিকা কার্যক্রমকে দলীয়করণ করে প্রতিটি টিকা কেন্দ্রকে করোনা বিস্তারের হটস্পটে পরিণত করা হয়েছে। তাই জনগণের দৃষ্টি ঘুরানোর অপচেষ্টা চলছে।
[৬] বাম জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক বজলুর রশীদ ফিরোজের সভাপতিত্বে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল প্রেসক্লাব, তোপখানা রোড, পল্টন, মুক্তাঙ্গন, নূরহোসেন স্কোয়ার হয়ে সচিবালয়ের পূর্বগেটে পুলিশী বাঁধার মুখে পড়ে। সেখানে সমাবেশের বিক্ষোভ কর্মসূচী শেষ হয়।