লিহান লিমা: [২] করোনার অতি সংক্রমক ধরন ডেল্টা প্রতিরোধে বর্তমানে বিদেশে অবস্থানরত নাগরিকদের দেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। বিবিসি
[৩] বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, দেশের অন্তত ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনার আগ পর্যন্ত প্রবাসী অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক এবং বিদেশিদের জন্য সীমান্ত বন্ধ থাকবে। এখন পর্যন্ত দেশটির মাত্র ১৯ শতাংশ করোনার দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন।
[৪] মার্চ থেকে দেশটিতে নাগরিক এবং স্থায়ী বাসিন্দাদের অস্ট্রেলিয়া ছাড়তে নিষেধাজ্ঞা জারি ছিলো। বিদেশী নাগরিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞারোপ কর হয়েছিলো এবং শুধুমাত্র জরুরী প্রয়োজনে সপ্তাহে নির্দিষ্ট সংখ্যাক প্রবাসীকে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছিলো। তবে অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকদের ওপর কোনো বিধি-নিষেধ দেয়া হয় নি।
[৫] গত ১ আগস্ট দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী গ্রেগ হান্ট ‘বিদেশী ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আইন’ নাগরিক ও স্থায়ী বাসিন্দাদের জন্যও কঠোর করেছেন। ১১ আগস্ট থেকে কার্যকর হতে যাওয়া এই আইনে অন্য দেশের বাসিন্দা এবং অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকদের দেশে প্রবেশে এবং দেশ ছাড়তে আবেদন করতে হবে। কেউ যদি ১২ থেকে ২৪ মাস অস্ট্রেলিয়ার বাহিরে থাকে তবে তাকে ‘অন্য দেশের বাসিন্দা’ হিসেবে বিবেচনা করে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রদপ্তর।
[৬]ক্যানবেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও নাগরিকত্ব আইন বিশেষজ্ঞ কিম রুবেনস্টেইন বলেন, সরকারের এই সীমান্ত নীতি সংবিধানে নাগরিকত্বের অধিকারের লঙ্ঘন এবং এটি বহুজাতিক সংস্কৃতি থেকে আসা অস্ট্রেলিয়ানদের অন্যায্যভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
[৭] সরকারি এই নীতিকে ‘বর্বরোচিত’ বলে উল্লেখ করে সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন দেশটির জনগণের একাংশ। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত অস্ট্রেলীয় নাগরিক আলেক্সান্দ্রা ফেলান টুইটবার্তায় বলেন, ‘এই খবর পড়ে বুঝতে পারলাম আমরা, প্রবাসী অস্ট্রেলিয়ানরা নিজ দেশ থেকে নির্বাসিত হয়েছি।’