শিরোনাম
◈ চট্টগ্রাম বন্দরে সাইফ পাওয়ার টেকের যুগের অবসান, এনসিটির দায়িত্বে নৌবাহিনী ◈ ১ ট্রিলিয়ন ডলারের খনিজের খেলায় তালেবান, পেছনে চীন-রাশিয়া-ইরান-ভারত! ◈ পাকিস্তানকে ঠেকাতে গিয়ে ভারতে বন্যা, তোপের মুখে কঙ্গনা (ভিডিও) ◈ ৫ আগস্ট লক্ষ্য ছিল গণভবন, এবার জাতীয় সংসদ: নাহিদ ইসলাম (ভিডিও) ◈ গাজীপুরে মহানগর বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার ◈ দেশের জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় জনগণ ঐক্যবদ্ধ : মির্জা ফখরুল ◈ রেস্ট হাউজে ‘নারীসহ’ ওসি, আটক করে ‘চাঁদা দাবি’ ছাত্রদল নেতার, সিসিটিভির ফুটেজ ফাঁস ◈ আর একটি হত্যাকাণ্ড ঘটলে সীমান্ত অভিমুখে লংমার্চ: হুঁশিয়ারি নাহিদ ইসলামের ◈ ধামরাইয়ে ঋণ দেওয়ার কথা বলে গৃহবধুকে ধর্ষণ, আসামী গ্রেফতার ◈ গাজীপুরে চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেফতার বিএনপি নেতা স্বপন

প্রকাশিত : ০৬ আগস্ট, ২০২১, ০২:৫৩ রাত
আপডেট : ০৬ আগস্ট, ২০২১, ০২:৫৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সুব্রত বিশ্বাস: মানুষ হওয়া চাই, শিক্ষিত মধ্যবিত্ত ঘরের অল্পবয়সী মেয়েদের, দুর্দশাচিত্র ও বৃহৎ গোষ্ঠী পুরুষতান্ত্রিকতা

সুব্রত বিশ্বাস: একজন নারী বয়স ও সামাজিক অবস্থানে নির্বিশেষে বিভেদ-বিদ্বেষের শিকার হচ্ছেন এদেশে, বুঝতে বেগ পেতে হয় না ঘরে পুরুষতন্ত্রের রক্তচক্ষু, বাইরে ও নারীবিদ্বেষের লক্ষ্মণরেখা, নারীসমাজ তাহলে অন্য কোনখানে যাবে? সমাজ। শ্বশুরবাড়িতে অত্যাচারিত হয়ে পিতৃগৃহে আসলে আশ্রয় ও আশ্বাসের পরিবর্তে জুটছে হেনস্থা। বহুলাংশই সুশিক্ষিতা তরুণী লকডাউনে ঘরে ঘরে বসে সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে থাকছে সেখানে তো খারাপ ভালো দুই আছে, ইতোমধ্যেই ঢাকা শহরে অনেকগুলো ঘটনা দেখলাম হেলেনা জাহাঙ্গীর, পরীমনি ইত্যাদি ইত্যাদি ঘটনাগুলো ঘটছে শিক্ষা ও অন্য সুযোগসুবিধাহীন প্রত্যন্ত ও অনগ্রসর অঞ্চলে না, খোদ রাজধানী শহরে, এদের শাস্তি ত্বরান্বিত করার প্রয়াস যদি করতেই হয়, এদের সঙ্গে যুক্ত বৃহত্তর অপরাধ জগৎ স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রকাশ পাক সাধারণের সামনে। কিন্তু এই সমস্ত ঘটনার পেছনে নারীরা যে এককভাবে জড়িত আমার তা মনে হয় না, এর পেছনে একটা বৃহৎ গোষ্ঠী পুরুষতান্ত্রিকতা কাজ করে, উচ্চশ্রেণির উচ্চবিত্তের পুরুষ এর সঙ্গে জড়িত থাকে, যদি সত্যিই অপরাধ দমন করতে হয় তাহলেই পুরুষগুলো কেউ আইনের আওতায় আনতে হবে, যারা পেছন থেকে নানা প্রশ্রয় দিয়ে এই সমস্ত নারীদের বিপদগামী করে তুলছে এবং নিজেরা কিছু সুবিধা নিচ্ছে, মেয়েদের সুরক্ষায় আইনের সংখ্যা অনেক— গৃহহিংসা বিরোধী আইন রয়েছে, কর্মস্থলে সুপরিবেশ ও সমানাধিকার নিশ্চিত করবার আইন রয়েছে। কিন্তু পরিবার ও সমাজ বিমুখ হলে আইনও কার্যকারিতা হারায়। যে পরিবার ও সমাজে নারী ভ্রূণাবস্থা হতেই অনাকাক্সিক্ষত, বড় হয়ে উঠবার যাত্রায় প্রতি পদে বিধিনিষেধ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, যে দেশে রাজনৈতিক নেতা, তথা সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গও প্রায়শই নারীর আব্রু, পোশাক, পেশা সম্পর্কে নিদান হাঁকিয়ে তাকে চিরাচরিত গৃহস্থালি ও ত্যাগসর্বস্ব মাতৃত্ব যাপনের সুপরামর্শ দিয়া থাকেন, সেখানে নারীদের বিপদগামী করে তুলছে, অপরাধ প্রতারণা এগুলোও একধরনের মানসিক অসুস্থতার নিদর্শন? বিপুল প্রতারণা সত্ত্বেও নিরপরাধের ছাড়পত্র পেয়ে যাচ্ছেন অযৌক্তিক সহানুভূতিতে অনেক অপরাধী!

সামাজিক অমানবিকতায় প্রহারে প্রাণ হারান, অপরাধ, ধর্ষণ থেকে রাহাজানি, খুন থেকে প্রতারণা, চুরি থেকে শুরু করে ছেলেধরা, ডাইনি সন্দেহে নির্যাতন খুন বহু এলাকায় প্রকাশ্যে এসেছে। গণমাধ্যমে মনস্তত্ত্ববিদদের মতামত আজকাল যেকোনো চ্যানেলে একটু বেশিই লক্ষ করা যাচ্ছে। নানা ভ্রান্ত অমূলক মতও আত্মস্থ করতে হচ্ছে দর্শককে। প্রতি দিন টিভি চ্যানেলের নানা যুক্তি, মতামত শুনতে শুনতে সমাজের অসঙ্গতিপূর্ণ কার্যকলাপ, অপরাধ আর মনোরোগ সব একাকার হয়ে যেতে দেখি। সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ যখন কর্মহীনতায়, অর্থকষ্টে ধুঁকছেন, সুযোগসন্ধানী রাজনীতিক অপরাধ আশ্রয় পেয়ে যাচ্ছেন, তখন কি আমাদের সংশয় প্রকট হবে না সম্মানীয় ব্যক্তি; কিংবা যে সমস্ত বড় মাপের ব্যবসায়ী জাল ওষুধের কারবারে যুক্ত এবং যারা প্রতিনিয়ত খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল দিয়ে মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে, তাদের কর্মকাণ্ডকেও কি মানসিক বিকৃতি, অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত হবে না।

যেকোনো কিছু রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা বড় হওয়া নানার অপরাধ যা দেখেও না দেখার ভান করার যে অর্থহীন প্রয়াস, তার বিরুদ্ধে কথা বলারও সময় এসেছে। অনেক অপরাধ, অপরাধীর অন্তরালে চলে যাওয়া, অন্যায় ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা এভাবেই চলতে থাকে। না দেখার ভান করার যে অর্থহীন প্রয়াস ঢাল হিসেবে ব্যবহার না করে সত্যিকারের মুখ বেরিয়ে পড়ুক মুখোশের আড়াল থেকে। সবিনয়ে জানতে চাই, দেশ কি প্রতারক, ঠক ও জোচ্চোরদের অবাধ বিচরণক্ষেত্র হয়ে গেলো? অভিজ্ঞতা বলে যে, রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়া ও মদত ব্যতিরেকে প্রতারণার এত বড় জাল বিস্তার করা প্রায় অসম্ভব। অপরাধী রাজনীতির, বিস্টুরা অন্তরালেই থেকে যাবেন।

এখনো মেয়েদের বাল্যবিবাহ হয় এবং তার দায় তাকে নিতে হয়। অপরিণত বয়সে সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর দুর্বল শরীরে লাথি, ঝাঁটা খেতে খেতে সংসারের সব দায়-দায়িত্ব পালন করতে হয়। কতো স্বামী পরিত্যক্তা মেয়ের ঠাঁই হয়নি বাপের ঘরেও। ধর্ষণের পর মেরে ফেলা, পুড়িয়ে ফেলার ঘটনাও অনেক। অ্যাসিড ছুড়ে পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে মুখ, শরীর। বিচারব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রতায় ন্যায়বিচার পেতে সময় গড়িয়ে যায়। অনেকে আর্থিক অসুবিধার জন্য বিচারালয়ে যেতে পারেন না।

একবিংশ শতকের নারীরা সব ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু তাদের সংখ্যা অতি সামান্য। আমাদের দেশ তথা মেয়েদের সে সুযোগ কোথায়! পুরুষশাসিত সমাজে শিক্ষায়, কাজের জায়গায়, দেশ শাসনে মেয়েদের সমানাধিকারের সুযোগ এখনও নেই। নারীদের ক্ষমতা, অধিকারবোধ সম্পর্কে সচেতন করতে পারলে তবেই একমাত্র নারীশক্তির জাগরণ সম্ভব হবে। একবিংশ শতাব্দীতে এসে আমরা এ কোন গহন অন্ধকারে পড়ে আছি। লেখক : ব্যবসায়ী।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়