নিউজ ডেস্ক: লক্ষ্মীপুরে দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত আওয়ামী লীগ নেতা হারুনুর রশিদ হারুনকে (৫১) ঢাকা নেওয়ার সময় মারা যান। বুধবার (৪ আগস্ট) দিবাগত রাত ১টার দিকে কুমিল্লার বিশ্বরোড এলাকায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। দুর্বৃত্তদের অস্ত্রের আঘাতে তার দুই হাতের কব্জি, পা ও মাথা জখম হয়। নিহত হারুন এলাকায় প্রতিবাদী মুখ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ঢাকা পোস্ট
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমির হোসেন মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, হারুন ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। কুমিল্লা বিশ্বরোড এলাকায় তার মৃত্যু হয়। তার মরদেহ লক্ষ্মীপুর নিয়ে আসা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এলাকায় সন্ত্রাস রোধে পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতেন হারুন। এর আগেও বিএনপির সন্ত্রাসী বাহিনী লাদেন-মাসুম গ্রুপ তার ওপর হামলা চালিয়েছিল। এবারও বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে ঘটনাটি ঘটিয়েছে। এখানে কোনো দলীয় কোন্দল নেই।
স্থানীয়রা জানায়, পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের আলমপুর গ্রামে বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে হারুন বাড়ির পাশে একটি চায়ের দোকানে আড্ডা দিচ্ছিলেন। হঠাৎ সিএনজি চালিত অটোরিকশাযোগে ৪-৫ জন দুর্বৃত্ত এসে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। একপর্যায়ে তাকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে দুই হাতের কব্জি, পা ও মাথায় রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় আতঙ্ক ছড়াতে তারা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
পরে স্থানীয়রা হারুনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠায়। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নেওয়ার সময় কুমিল্লার বিশ্বরোড এলাকায় তার মৃত্যু হয়। তবে হামলার সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ জানাতে পারেনি কেউই।
ঘটনার পর সদর হাসপাতালে হারুনকে দেখতে যান লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর ও সদরের একাংশ) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন। তিনি জানান, হারুনের ওপর বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে। তারা লক্ষ্মীপুরের শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে আবারও নষ্ট করতে চাইছে। জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন তিনি।
এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) ড. এএইচএম কামরুজ্জামান জানান, দৃর্বৃত্তরা হারুনের ওপর হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করছে।