রাহুল রাজ: [২] প্রথম ম্যাচে জয় দিয়ে সিরিজ শুরু করা বাংলাদেশ দ্বিতীয় ম্যাচেও নাস্তানাবুদ করে দিয়েছে অজিদের। সফরকারীদের ৫ উইকেটে হারিয়েছে মাহমুদউল্লাহর দল। বাকি ৩ ম্যাচের আর মাত্র একটি জিততে পারলেই সিরিজ হয়ে যাবে স্বাগতিকদের।
[৩] আগের ম্যাচে টস জিতে বোলিং করলেও এদিন প্রথমে ব্যাটিং বেছে নেয় অস্ট্রেলিয়া। ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১২১ রান তোলে সফরকারীরা। জবাবে ৮ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।
[৪] ১২২রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে মাত্র ৬৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চোখে শর্ষে ফুল দেখছিলো টিম টাইগার। আফিফ হোসেন ও নুরুল হোসেন সোহান ৫৬ রানে জুটি গড়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫ ম্যাচের সিরিজ ২-০ তে জিতে আরো একবার বাঘের গর্জনে প্রকম্পিত হলো ক্রিকেটবিশ্ব।
[৫] শুরুতেই এলবিডব্লিউতে আউট দিলেও রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান তিনি। এরপর সোহানকে নিয়ে বড় জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন আফিফ। আফিফ ৩৭ (৩১) ও সোহান ২২(২১) রানে অপরাজিত ছিলেন।
[৬] ১৮.৪ ওভারে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৭ রান করা আফিফের ব্যাট থেকে যখন জয়সূচক রান আসে, তখন পুরো বিশ্বের টাইগার ভক্তদের বুকে আটকে থাকা নিশ্বাস বিজয়ের উল্লাসে রূপ নেয়।
[৭] সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলার দামাল ছেলেদের ম্যাচ জয়কে যারা নিছক দুর্ঘটনা আখ্যা দিয়েছিলেন, তাদের মুখ বন্ধ করে রিয়াদ বাহিনী পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছে ক্রিকেটে বর্তমানে বাংলাদেশ শক্তিমান ও আত্মপ্রত্যয়ী একটি দল।
[৮] ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সৌম্য (০) ও নাঈম ৯ রানে আউট হলে হোঁচট খায় বাংলাদেশ। সাকিব ও মাহাদী ৩৭ রানে জুটিতে প্রাথমিক বিপদ কাটিয়ে উঠলে জয়ের পথেই হাঁটতে থাকে লাল-সবুজের দল। ৯.৩ ওভারে ৯ রানের ব্যবধানেই সাকিব ২৬, মাহাদী ২৩ ও রিয়াদ ০ রানে আউট হলে পরাজয়ের কালো মেঘের ছায়া ঘনিয়ে আসে। নতুন করে জীবন ফিরে পেয়ে সেটা কীভাবে কাজে লাগতে হয় সেটা দেখিয়েছেন আফিফ। অস্ট্রেলিয়া পুরো দল কতটা চাপ ও উৎকণ্ঠা নিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নেমেছিলো তার অন্যতম প্রমাণ তাদের ৬ টি নিশ্চিত ক্যাচ মিস।
[৯] এর আগে মিরপুরের শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বুধবার টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের টাইট বোলিং সামালাতেই বেশি হিমশিম খেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ৭ উইকেট হারিয়ে ক্যাঙ্গারুরা স্কোর বোর্ডে জমা করে ১২১ রান। সর্বোচ্চ ৪৫ রান করা ইচেল মার্শকে নুরুল হাসানের গ্লাভসে আটকে দেন শরিফুল ইসলাম। বাংলাদেশের পক্ষে মোস্তাফিজ ৩ ও শফিউল নেন ২ উইকেট। সাকিব ও মাহাদী ১টি করে অজি ব্যাটসম্যানকে আউট করেন। সম্পাদনা: মিনহাজুল আবেদীন ও হাসান হাফিজ