আফরোজা সরকার: [২] রংপুরের বদরগঞ্জে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মাদ্রসা ছাত্রীকে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত করেন শাখাওয়াত হোসেন। আহত অবস্থায় ওই মাদ্রাসা ছাত্রীকে দ্রুত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রচুর রক্তক্ষরণ ও মারাত্মক জখম হওয়ায় চার দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে ওই মাদ্রাসার ছাত্রী ফুলতির গতকাল ভোর ৪টায় মৃত্যু হয় ।
[৩] এঘটনার পর বদরগঞ্জ থানা পুলিশ নড়েচড়ে বসেন এবং আসামিকে গ্রেফতারে তৎপরতা অব্যাহত রেখেন, আজ ভোরে গাজীপুর জেলার কালিয়াকুর থানা এলাকা থেকে আসামী শাখাওয়াত হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
[৩] এর আগে গত বুধবার (২৮ জুলাই) প্রেম প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় ওই শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত করে শাখাওয়াত হোসেন। ওই যুবক ফুলতির বড় বোনের শ্বশুড়বাড়ির আত্নীয়তার সূত্রে বোনের দেবর হয়। সেই কারনে শাখাওয়াত কে ফুলমতি চিনতো। তারমিনা আক্তার ওরফে ফুলতি লোহানীপাড়া দাখিল মাদরাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে ওই এলাকার তোয়াব আলীর মেয়ে। বুধবার (২৮ জুলাই) তার বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজনের কথা শুনে ক্ষুদ্ধ শাখাওয়াত ওই দিন ভোরে মিঠাপুকুর থেকে বদরগঞ্জে গিয়ে ফুলতিকে ছুরিকাঘাত করেছে ।
[৪] মেয়েটির মামা নূর আলম বলেন, আমি গত ২৯ জুলাই মেয়েটির মামা বাদী হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেছি, আমার ভাগ্নি একজন সরল সহজ এবং নিরীহ মেয়ে ছিলেন, তাকে এভাবে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে।
[৫] গুরুতর আহত অবস্থায় ফুলমতিকে গত বুধবার ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে চারদিন ধরে চিকিৎসা দেয়া হয়। কিন্তু প্রচুর রক্তক্ষরণ ও মারাত্মক জখম হওয়ায় তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। আজ পুলি তাকে গ্রেপ্তার হরেছে। আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
[৬] বদরগঞ্জ থানার পুলিশ পরির্দশক আরিফ আলী বলেন , ২৮ তারিখ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শাখাওয়াত পলাতাক ছিলেন। হাসপাতালে ফুলমতি মারা যাওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
[৭] এই আভিযানে আমার সাথে ছিলেন, মামলার তদান্তকারী কর্মকর্তা এসআই আহসান হাবিব, এইআই সাদ্দাম। আমরা অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামী গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের পর , পর আদালতে প্রেরণ করা হবে।