শাহীন খন্দকার: [২] রোববার রাজধানীর মহাখালীর বিসিপিএস মিলনায়তনে প্রথমবর্ষের এমবিবিএস ক্লাসের (২০২০-২১) উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক একথা বলেন। তিনি বলেন, এখনও আমরা জায়গা, ভবন খুঁজছি। কিন্তু পাচ্ছি না। ভবন পাওয়া গেলেই তো হবে না, ডাক্তার থাকতে হবে, নার্স থাকতে হবে, যন্ত্রপাতি থাকতে হবে। আমরা সেটারও চেষ্টা করছি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ এখনও ঊর্ধ্বমুখী। দক্ষিণাঞ্চলে চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লায় এখনও বাড়ছে। তবে উত্তরবঙ্গে হার কমতে শুরু করেছে।
[৩] মন্ত্রী বলেন, প্রতিদিন করোনায় দুই শতাধিক লোকের মৃত্যু হচ্ছে। ১০ হাজারের উপরে লোক আক্রান্ত হচ্ছে। আমরা মৃত্যু ও সংক্রমণ কমিয়ে আনতে চাই। সবাই যদি স্বাস্থ্যবিধি না মানি তবে সংক্রমণ কমবে না। চলমান কঠোরতম বিধিনিষেধের (লকডাউন) মধ্যে গার্মেন্টসসহ রপ্তানিমুখী শিল্প–কারখানা খুলে দেয়ায় ফের সংক্রমণ বাড়বে।
[৪] সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, রোববার থেকে গার্মেন্টস খুলে দেয়ায় দেশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু তারা স্বাস্থ্যবিধি মানেননি। ফলে সংক্রমণ আরও বাড়বে। তবে জীবনের জন্য জীবিকার দরকার হয়। সবকিছুই ভাবতে হয় সরকারকে।
[৫] তিনি আরো বলেন, অস্ট্রেলিয়াতে কারফিউ দিয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রে মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা তুলে দিয়েছিল। কিন্তু আবার পরতে বলেছে। অনেক জায়গায় রেস্টুরেন্ট খুলে দিয়েছিল। আবার বন্ধ করে দিয়েছে। সবজায়গায় একই অবস্থা। আমাদেরকেও সাবধানে এগুতে হবে। সবকিছু ভেবেই এগুতে হবে যাতে সংক্রমণ না বাড়ে। সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে মৃত্যুহার বাড়বে।
[৬] জাহিদ মালেক বলেন, আগামী এক সপ্তাহে এক কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনা হবে। আগামী ৭ আগস্ট থেকে টিকার ক্যাম্প করা হবে। রেজিস্ট্রেশন লাগবে না। ভোটার আইডিকার্ড নিয়ে কেন্দ্রে গেলেই হবে। যাদের কার্ড নেই, তাদের বিশেষ ব্যবস্থায় টিকা দেয়া হবে।
[৭] স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেনের সভাপতিত্ব করেন অনুষ্ঠানে। উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. একেএম আহসান হাবিব, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. টিটো মিঞা, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) সহ-সভাপতি অধ্যাপক ডা. এবিএম মাকসুদুল আলম, বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এম এ মুবিন খানপ্রমুখ। সম্পাদনাঃ হাসান হাফিজ