সুজিৎ নন্দী: [২] স্বাধীনতা স্তম্ভ পর্ব-৩ প্রকল্পের গণপূর্ত অধিদফতরের অংশের কাজ ৮৫ ভাগ শেষ হয়েছে। এরই মধ্যে গণপূর্ত অধিদফতর ১ লাখ ৭০ হাজার স্কয়ার ফুট গাড়ি পার্কিয়ের কাজ শেষ করেছে। বর্তমানে সাব স্টেশনের কাজ পুরোদমে চলছে। ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষনের মঞ্চ ও স্যারেন্ডার মঞ্চের কাজ শুরু হয়েছে।
[৩] ২৬৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা ব্যয়ে শুরু হওয়া এ কাজ ডিসেম্বর মধ্যে শেষ হবার কথা। এর মধ্যে গনপূর্ত অধিদফতরের ১২৭ কোটি টাকা কাজ চলছে। এর মধ্যে সিভিল ডিভিশনের কাজ ১০১ কোটি টাকা এবং ইলেকট্রিক ডিভিশনের ২৬ কোটি টাকার কাজ।
[৪] প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, যে পরিমান অগ্রগতি হবার কথা ছিলো করোনার কারণে তা হয়নি। তবে ধীরগতিতে কাজ চলছে। কাজটির একাধিক ধাপ বাস্তবায়ন হচ্ছে। প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।
[৫] গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আহমেদ বলেন, প্রকল্পের কাজ চলছে। পুরো কাজটি কয়েক ভাগে ভাগ করা হয়েছে। একাধিক কাজ শেষ হয়েছে। গাড়ি রাখার জন্য বেইজমেন্টে গাড়ি পাকিং কাজ বেশ আগেই শেষ হয়েছে।
[৬] নগর গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী স্বর্ণেন্দু শেখর মন্ডল বলেন, নতুন রাইড দিয়ে বিশ্বমানের শিশুপার্ক তৈরি হবে। নির্মাণকাজ শেষ হলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) হস্তান্তর করা হবে। আমাদের অংশের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।
[৭] মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, শাহবাগ থানা হস্তান্তর না হবার কারণে পুরো কাজ শেষ হতে দেরি হচ্ছে। একটি আবাসিক ভবন তৈরি হবে। যার কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এরই পাশে ওয়াটার বডি ও ফেয়ারা তৈরিসহ অন্যপাশে আন্ডারপাস নির্মাণ করা হবে। যার প্রাথমিক কাজ চলছে। তৈরি হবে অত্যাধুনিক শিশুপার্ক। সরেজমিনে পার্ক পরিদর্শন ও স্বাধীনতা স্তম্ভ পর্ব-৩ প্রকল্প উদ্ধতন কর্মকর্তারা এতথ্য জানান।
[৮] একাধিক সূত্র জানায়, প্রকল্প বাস্তবায়ণ করতে ফুলের মার্কেট ভেঙ্গে ফেলতে বলা হয়েছে। শাহবাগ থানা দ্রুত সরিয়ে ফেলার জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে একাধিকবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়া হয়েছে। খুব শিঘ্রই থানা সরিয়ে ফেলা হবে। পুরো প্রকল্পের যে গতি তাতে আগামী বছর জুন মাসে শেষ হবে।
[৯] বর্তমানে ফুলের মার্কেটের পেছন থেকে শাহবাগ থানার শেষ পর্যন্ত শিশুদের বিনোদনে জাতীয় শিশুপার্ক তৈরি হবে। পরিকল্পিত ভাবে স্থায়ী ভাবে ছোট ছোট ফুলের দোকান তৈরি হবে। যারা বর্তমানে ফুলের দোকান আছে তাদের মধ্যে থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বরাদ্দ দেয়া হবে।