নুর উদ্দিন মুরাদ: [২] কোম্পানীগঞ্জে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি ও ঋতু পরিবর্তনের কারণে উপজেলায়বেড়েছে জ্বর, সর্দি, কাশির রোগী। ফলে চাহিদা বেড়েছে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধের। আর এই সময়ে হঠাৎ বাজার থেকে উধাওহয়েছে নাপা গ্রুপের ওষুধ।
[৩] উপজেলার বড় ফার্মেসি গুলোতে মিলছে না নাপা, নাপা অ্যাক্সট্রা, নাপা অ্যাক্সট্রেন্ড ও সিরাপ জাতীয় ওষুধ। দু-একটি ফার্মেসিতেমিললেও তা ক্রেতাদের কিনতে হচ্ছে চড়া দামে।
[৪] যদিও ক্রেতারা বলছেন, কৃত্রিম সঙ্কট দেখিয়ে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করছেন। আর ওষুধ ব্যবসায়ীরা বলছেন, কোম্পানি থেকেইনাপার সাপ্লাই নেই।যা ছিলো ,করোনার প্রভাবে অল্প সময়েই শেষ।
[৫] বসুরহাট বাজারের সেন্ট্রাল হাসপাতাল ফার্মেসী,বসুরহাট সার্জিকেল সহবেশকিছু এলাকার ফার্মেসি ঘুরে এমন চিত্রের দেখামিলেছে।
[৬] ফার্মেসির মালিকরা জানান, প্যারাসিটামলের মধ্যে নাপা, এইচ প্লাস, অ্যাক্সট্রা, অ্যাক্সট্রেন্ড, ফাস্ট, টামেন, রেনোভা নামের বিভিন্নকোম্পানির ওষুধ রয়েছে। অথচ মানুষ নাপার প্রতি ঝুঁকছেন বেশি। তারা নাপা ছাড়া অন্য ওষুধ নিতে চাচ্ছেন না।
[৭] বসুরহাট মা ও শিশু হাসপাতালের সামনে ফার্মেসিতে ওষুধ কিনতে আসা বোরহান উদ্দিন বলেন, ওষুধের কৃত্রিম সঙ্কট দেখিয়েদাম বাড়ানো হচ্ছে কিনা বুঝতেছি না।এতো গুলো ফার্মেসীতে গেলাম নাপা নেই।
[৮] বসুরহাট সেন্ট্রাল হাসপাতাল ফার্মেসীর ইউসুপ বলেন, নাপার সঙ্কট রয়েছে। কোম্পানি থেকেই নাপা, নাপা অ্যাক্সট্রা, নাপাঅ্যাক্সট্রেন্ড ও সিরাপ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। তবে কী কারণে তারা ওষুধ দিচ্ছে না, জানা নেই তার।
[৯] কানন ফার্মেসির স্বত্ত্বাধিকারী বাসু দেব বলেন, মার্কেটে প্যারাসিটামলের ব্যাপক চাহিদা। কোম্পানি ওষুধ দিতে পারছে না। মানুষের মধ্যে এক ধরনের রোগ হয়েছে, নাপা লাগবে তাদের। মানুষ বোঝে না অন্যগুলোও একই কাজ করে। কিন্তু মানুষ নাপাছাড়া বুঝতে চাচ্ছে না।
[১০] এফ হক ফার্মেসীর স্বত্বাধিকারী ইসমাইল ফারুক বলেন, প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধের চাহিদা বেড়েছে। নাপা ওষুধ সরবরাহনেই। নরমাল দিনে ২/৩ ফাইল সিরাপের চাহিদা ছিল। এখন ৫০ জনে চায়।
[১১] এ বিষয়ে বেক্সিমকো কোম্পানীর উপজেলা মেড়িকেল প্রমোশন অফিসার সাহাব উল্লাহ্ বলেন, করোনার কারনে এ সমস্যা সৃষ্টিহয়েছে।অনেকে পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ কিনে রাখছেন। মানুষের নাপার প্রতি ঝোঁকটা বেশি। এ কারণেচাহিদা বেড়ে সঙ্কট তৈরি হয়েছে।
[১২] কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম বলেন, মানুষের মধ্যে একটি ভ্রান্ত ধারণা হলো জ্বর হলে শুধু নাপাই খেতে হবে। কিন্তু অন্য কোম্পানিগুলোরও যে বিভিন্ন নামে প্যারাসিটামল ওষুধ আছে, সে সম্পর্কে তাদের ধারণাকম। নাপা নামের সাথেই পরিচিত সবাই। জ্বর হলে চিকিৎসকরা প্যারাসিটামল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে তার মানেশুধু নাপা খেতে হবে- তা নয়, ভালো মানের অন্য কোম্পানির প্যারাসিটামল খেলেই হবে। এ বিষয়ে সকলকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। সম্পাদনা: হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :