শিরোনাম
◈ গুলিস্তানে একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ◈ বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘নিখোঁজ’ কর্মকর্তাকে মাদারীপুর থেকে উদ্ধার ◈ তৈরি পোশাক রপ্তানিতে টানা পতন: তিন মাসে ক্ষতি শত কোটি ডলার ◈ দেশের রিজার্ভ কত, জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক ◈ গাজীপুরে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে দুর্বৃত্তের আগুন ◈ তিতাস গ্যাস ফিল্ডে ওয়েলহেড কম্প্রেসর স্থাপন, জাতীয় গ্রিডে বাড়ল ২২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ◈ দিল্লিতে গাড়ি বিস্ফোরণে হতাহত, ভারতের পাশে থাকার বার্তা বাংলাদেশের ◈ প্রবাসীদের বড় সুখবর দিল ওমান সরকার ◈ জেদ্দায় স্বাক্ষরিত বাংলাদেশ–সৌদি হজ চুক্তি: ৭৮ হাজার ৫০০ জনের কোটা নির্ধারণ ◈ ৪৯তম বিশেষ বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ

প্রকাশিত : ৩০ জুলাই, ২০২১, ০৪:৫৬ দুপুর
আপডেট : ৩০ জুলাই, ২০২১, ০৪:৫৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] মৌলভীবাজারে করোনা পজিটিভ রোগী হয়েও করছেন দোকানদারী

স্বপন দেব: [২] সদর উপজেলা চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের দক্ষিন বর্ষিজোড়া এলাকার মাহদী ভেরাইটিজ ষ্টোরের মালিক সৈয়দ এখলাছ আলী (৫১) নামে এক দোকানী করোনা পজিটিভ হয়েও দোকানদারি করে এলাকাবাসীকে করোনা সংক্রমণ ছড়াচ্ছেন। এ নিয়ে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।

[৩] শুক্রবার (৩০ জুলাই) সকালে সরেজমিনে গিয়ে, তাকে দোকানে বসে ব্যবসা করতে দেখেছেন। এভাবে জেলায় অনেক রোগী করোনা পজিটিভ হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কেউ বাজার হাট করছেন। কেউ পরিবারের লোকজনের ও বন্ধুদের সাথে অবাধে মেলামেশা করে করোনার ভয়াবহ সংক্রমণ ছড়িয়ে পরছে।

[৪] গোটা জেলাবাসীকে মারাত্মক ঝুঁকিতে ফেলছেন তারা। এদের বিরুদ্ধে সংক্রমক আইনে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন বলে এলাকাবাসী মনে করেন।

[৫] প্রশাসন তার বাড়ি বা দোকান এখনো লকডাউনের আওতায় না আনায় এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এখলাছ আলীর শরীরে গত ২৭ জুলাই করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে।

[৬] সদর হাসপাতালে করোনা নমুনা টেস্টে করোনা পজিটিভ হলে (তালিকার ক্রমিক নম্বর-১৯৯) তাকে ও স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়ে দেওয়া হয়। তারপরও তিনি দোকানদারি চালিয়ে যাচ্ছেন।

[৭] অভিযোগ রয়েছে, এলাকায় করোনা পরীক্ষা করে যাদের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে তাদের কারো বাড়ি প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো লকডাউন করা হয়নি। যে কারণে তারা হরহামেশাই বাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

[৮] করোনায় আক্রান্ত সৈয়দ এখলাছ আলী বলেন, আমার করোনা হয়েছে আমি বাড়িতে থাকি, তবে মাঝে মধ্যে দোকানদারি করছি। সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তিনি ফোন কেটে দেন।

[৯] সিভিল সার্জন ডা. চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ বলেন, আমরা প্রতিদিন টেস্ট রিপোর্টের ফলাফল উপজেলা প্রশাসনের কাছে পাঠিয়ে দেই। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মোবাইল ফোনে জানিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাসায় অবস্থান করে চিকিৎসা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে থাকি। সে কিভাবে আক্রান্ত হয়েও দোকানদারি করছে এটা আমার জানার বাইরে।

[১০] জেলার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবরিনা রহমান বলেন,কিভাবে তিনি করোনা রোগী হয়ে দোকানদারি করছেন তা আমার জানা নেই। আপনাদের কাছ থেকে জানলাম আমি এখনি ব্যবস্থা নিচ্ছি।

[১১] এদিকে সচেতন মহলের দাবি প্রথম অবস্থায় কোনও ব্যক্তি করোনা পজিটিভ হলে প্রশাসন যেভাবে বাড়ি লকডাউন করে এলাকাবাসীকে সচেতন করতো সেভাবে আবারও পদক্ষেপ নিতে হবে। না হলে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। যারা টেষ্ট দিবে তাদেরকেই আইসোলেশনে রাখা দরকার। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়