শিরোনাম
◈ লটারিতে নির্ধারিত ৬৪ জেলার এসপি: সুষ্ঠু নির্বাচনে সরকারের নতুন উদ্যোগ ◈ মোহাম্মদপুরে ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা, বাবা গুরুতর আহত ◈ জাতীয় অর্থনীতি ও কৌশলগত সম্পদে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার শুধু জনগণের নির্বাচিত সরকারের: তারেক রহমান ◈ হাসিনার সঙ্গে যোগাযোগ সম্পর্কে যা বললেন আইনজীবী পান্না ◈ দক্ষিণ এশিয়ায় জলবায়ু বিপর্যয়ের সতর্কবার্তা: ৯০% বাংলাদেশি উচ্চ ঝুঁকিতে ◈ নতুন আইনে বাতিল হচ্ছে অসংখ্য দলিল, রয়েছে জেল ও অর্থদণ্ড ◈ পুলিশ ভেরিফিকেশন বাতিল: পাসপোর্টের নতুন নিয়মে চমক ◈ আনন্দ বেদনার নারী কাবাডি বিশ্বকাপের পর্দা নাম‌লো ◈ মব ভাইরাসের তাণ্ডবে অতিষ্ট দেশ: ইসলামী বক্তা তাহেরী (ভিডিও) ◈ অনলাইন মার্কেটপ্লেসে নতুন দিগন্ত: অ্যামাজন-ইবে হয়ে রপ্তানির অনুমতি দিল বাংলাদেশ ব্যাংক

প্রকাশিত : ৩০ জুলাই, ২০২১, ০৪:৫৬ দুপুর
আপডেট : ৩০ জুলাই, ২০২১, ০৪:৫৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] মৌলভীবাজারে করোনা পজিটিভ রোগী হয়েও করছেন দোকানদারী

স্বপন দেব: [২] সদর উপজেলা চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের দক্ষিন বর্ষিজোড়া এলাকার মাহদী ভেরাইটিজ ষ্টোরের মালিক সৈয়দ এখলাছ আলী (৫১) নামে এক দোকানী করোনা পজিটিভ হয়েও দোকানদারি করে এলাকাবাসীকে করোনা সংক্রমণ ছড়াচ্ছেন। এ নিয়ে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।

[৩] শুক্রবার (৩০ জুলাই) সকালে সরেজমিনে গিয়ে, তাকে দোকানে বসে ব্যবসা করতে দেখেছেন। এভাবে জেলায় অনেক রোগী করোনা পজিটিভ হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কেউ বাজার হাট করছেন। কেউ পরিবারের লোকজনের ও বন্ধুদের সাথে অবাধে মেলামেশা করে করোনার ভয়াবহ সংক্রমণ ছড়িয়ে পরছে।

[৪] গোটা জেলাবাসীকে মারাত্মক ঝুঁকিতে ফেলছেন তারা। এদের বিরুদ্ধে সংক্রমক আইনে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন বলে এলাকাবাসী মনে করেন।

[৫] প্রশাসন তার বাড়ি বা দোকান এখনো লকডাউনের আওতায় না আনায় এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এখলাছ আলীর শরীরে গত ২৭ জুলাই করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে।

[৬] সদর হাসপাতালে করোনা নমুনা টেস্টে করোনা পজিটিভ হলে (তালিকার ক্রমিক নম্বর-১৯৯) তাকে ও স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়ে দেওয়া হয়। তারপরও তিনি দোকানদারি চালিয়ে যাচ্ছেন।

[৭] অভিযোগ রয়েছে, এলাকায় করোনা পরীক্ষা করে যাদের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে তাদের কারো বাড়ি প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো লকডাউন করা হয়নি। যে কারণে তারা হরহামেশাই বাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

[৮] করোনায় আক্রান্ত সৈয়দ এখলাছ আলী বলেন, আমার করোনা হয়েছে আমি বাড়িতে থাকি, তবে মাঝে মধ্যে দোকানদারি করছি। সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তিনি ফোন কেটে দেন।

[৯] সিভিল সার্জন ডা. চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ বলেন, আমরা প্রতিদিন টেস্ট রিপোর্টের ফলাফল উপজেলা প্রশাসনের কাছে পাঠিয়ে দেই। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মোবাইল ফোনে জানিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাসায় অবস্থান করে চিকিৎসা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে থাকি। সে কিভাবে আক্রান্ত হয়েও দোকানদারি করছে এটা আমার জানার বাইরে।

[১০] জেলার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবরিনা রহমান বলেন,কিভাবে তিনি করোনা রোগী হয়ে দোকানদারি করছেন তা আমার জানা নেই। আপনাদের কাছ থেকে জানলাম আমি এখনি ব্যবস্থা নিচ্ছি।

[১১] এদিকে সচেতন মহলের দাবি প্রথম অবস্থায় কোনও ব্যক্তি করোনা পজিটিভ হলে প্রশাসন যেভাবে বাড়ি লকডাউন করে এলাকাবাসীকে সচেতন করতো সেভাবে আবারও পদক্ষেপ নিতে হবে। না হলে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। যারা টেষ্ট দিবে তাদেরকেই আইসোলেশনে রাখা দরকার। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়