জিল্লুর রহমান: আমি বাংলাদেশের একজন সাধারণ নাগরিক। তথ্য জানা আমার অধিকার। দেশের সংবিধান এবং তথ্য অধিকার আইন আমাকে সেই অধিকার দিয়েছে। আমি জানতে চাই-[১] সংবাদ মাধ্যম সূত্রে আমরা জানতে পারি, দেশে কত টিকা এসেছে, কতোজন প্রথম ডোজ নিয়েছেন, কতোজন দ্বিতীয় ডোজ। কিন্তু, আমি জানতে চাই, এ পর্যন্ত কতো টিকা নষ্ট হয়েছে এবং কেন?
[২] ভারত থেকে টিকা আসা কেন বন্ধ হলো, তা আমরা শুনেছি এবং মেনেছিও। আমরা আমাদের প্রাপ্য টিকা পেলাম না, অথচ গত সপ্তাহে ভারত এক কোটি দশ লাখ টিকা ধ্বংস করেছে। তাহলে আমরা টিকা পেলাম না কেন?
[৩] দেশের স্বাস্থ্য দফতরের বেহাল দশার কথা আমরা সবাই জানি। সেখানে বেশ কয়েকজন পরিচালক আছেন নামিদামি চিকিৎসক এবং স্বনামধন্য মেডিকেল কলেজের শিক্ষক, কিন্তু তাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার কোনো অভিজ্ঞতা নেই। তাহলে তাদের কেন ওই পদগুলোতে বসিয়ে রাখা হয়েছে? অথচ বহু রোগী ও শিক্ষার্থী তাদের ভালো সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আর ডিজি অফিসের ওই পদগুলোতে থাকা দরকার জনস্বাস্থ্যবিদদের।
[৪] যদ্দুর জানি বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী একজন ধনাঢ্য ব্যক্তি, পিতার আমল থেকেই। আর কতো টাকা ওনার দরকার? এই দুঃসময়েও কেন ওনার আত্মীয় স্বাস্থ্য দফতরে দুর্নীতির বাণিজ্য করবেন? পত্রিকায় তো তাই দেখলাম।
[৫] সিদ্ধান্ত হয়েছে ১৮ বছর পেরুলেই টিকা পাওয়া যাবে। যেখানে ঝুঁকিপূর্ণ পঞ্চাশোর্ধ্বদের টিকাই নিশ্চিত করা যাচ্ছেনা, সেখানে কেন এই সিদ্ধান্ত? শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে এই সিদ্ধান্ত ভেবে খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু দুর্জনেরা বলছেন, একটি ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর চাপে এই সিদ্ধান্ত। বুঝে নিন!
[৬] দেশে এখন ২০টির অধিক জেলায় করোনায় আক্রান্তের শতকরা হার ৪০ এর ওপরে। পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে এই মুহূর্তে একটি শহরেও এই পরিস্থিতি নেই। এর দায় কে নেবে? [৭] করোনা সামলাতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে, এর সঙ্গে ডেঙ্গু আর চিকুনগুনিয়া যুক্ত হলে, কী হবে? সরকারকে মাথায় রাখতে হবে পরিস্থিতি বেসামাল হলে কেউ পাশে থাকবে না। সব দায় তার ঘাড়েই চাপবে। সামনে মহাবিপদ, সাধু সাবধান! লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক। ফেসবুক থেকে