শিরোনাম
◈ নির্বাচনী দায়িত্বে অপরাধের সাজা বাড়ছে: অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন ◈ দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত সম্পূর্ণভাবে পৃথক করলো সরকার ◈ অহেতুক চাপ সৃষ্টি করতে জামায়াতের কর্মসূচি: মির্জা ফখরুল ◈ জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে সাত দল ◈ স্ত্রী আসলেই নারী কি না প্রমাণ দেবেন ম্যাখোঁ ◈ আগামী বছরের বইমেলার সময় পরিবর্তন ◈ সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, যা জানালো ভারত ◈ সরকারি কর্মচারীদের জন্য বড় সুখবর: অবসরে বাড়ছে সুযোগ-সুবিধা, কমছে অপেক্ষাকাল ◈ আগামীকাল ৮ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় ◈ সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলায় যমুনা টিভির সাংবাদিকসহ আহত ৫

প্রকাশিত : ২৯ জুলাই, ২০২১, ১২:২৮ রাত
আপডেট : ২৯ জুলাই, ২০২১, ০৮:৫৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্যাগাসাস স্পাইওয়্যারের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনএসও গ্রুপে বিনিয়োগ বন্ধ করল ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্যাগাসাস স্পাইওয়্যার-কাণ্ডে আলোচিত ইসরায়েলি কোম্পানি এনএসও যে প্রাইভেট ইকুইটি ফার্মের অধীনে ছিল, সেটি তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দিচ্ছে। ওই কোম্পানির ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র সোমবার বার্তা সংস্থা এএফপিকে এ তথ্য দিয়েছে। লন্ডনভিত্তিক নোভালপিনা ক্যাপিটাল নামের প্রতিষ্ঠানটি ২০১৯ সালে এনএসও গ্রুপকে কিনে নেয়। প্রথম আলো

এখন প্রতিষ্ঠানটির সহপ্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে তা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

নোভালপিনা ক্যাপিটাল বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর এনএসও গ্রুপের ভবিষ্যৎ কী, তা এখনো স্পষ্ট নয়। সাম্প্রতিক পেগাসাস কেলেঙ্কারির ঘটনায় স্পাইওয়্যারটির সঙ্গে সঙ্গে এর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনএসও গ্রুপের নামও চলে এসেছে। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ব্যাপক সাইবার নজরদারির অভিযোগ উঠেছে।

নোভালপিনার মালিকানাধীন রয়েছে এস্তোনিয়ার ক্যাসিনো গ্রুপ অলিম্পিক এন্টারটেইনমেন্ট ও ফ্রান্সের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি এক্সও।

ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নোভালপিনার যাবতীয় সম্পদ নগদে বিক্রি করে দেওয়ার বা তৃতীয় কোনো কর্তৃপক্ষের হাতে এর নিয়ন্ত্রণ তুলে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ৬ আগস্ট পর্যন্ত সময় পাচ্ছেন এর বিনিয়োগকারীরা।

ফ্রান্সের ব্যবসা বিষয়ক দৈনিক লা ইকোস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, সহপ্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ লড়াই থামাতে নোভালপিনার বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। তবে এর পেছনে গোপন গোয়েন্দাগিরি কেলেঙ্কারি মূল ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই পেগাসাস ব্যবহার করে হাজারো মানুষের মুঠোফোনের তথ্য হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বা চেষ্টা করা হয়েছে। এমন ৫০ হাজারের বেশি ফোন নম্বরের তথ্যভান্ডার পেয়েছিল প্যারিসভিত্তিক অলাভজনক সংবাদ সংস্থা ফরবিডেন স্টোরিজ।

পরে মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সহযোগিতা নিয়ে ওই নম্বরগুলো ধরে অনুসন্ধান চালায় বিভিন্ন দেশের ১৭টি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। এই পেগাসাস ব্যবহার করে যাঁদের মুঠোফোনে আড়ি পাতা হয়েছে, তাঁদের তালিকাও প্রকাশ করেছে গণমাধ্যমগুলো। এই তালিকায় বিভিন্ন দেশের রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, মানবাধিকারকর্মীরা রয়েছেন। এরপর থেকেই এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়।

এনএসওর পক্ষ থেকে এ অভিযোগ ‘মিথ্যা’ বলে দাবি করা হয়েছে। তারা বলছে, তারা অন্যায় কিছু করেনি। তারা জোর দিয়ে বলে আসছে, তাদের সফটওয়্যার কেবল সন্ত্রাসী ও অন্যান্য অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ব্যবহার করা হয়।

এদিকে এনএসও গ্রুপের তৈরি পেগাসাস নিয়ে সরব হয়েছেন মার্কিন আইনপ্রণেতারা। যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম গার্ডিয়ান-এর খবরে বলা হয়েছে, এনএসওকে রপ্তানির কালো তালিকাভুক্ত করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতারা।

এনএসও গ্রুপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য দপ্তরের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। এ ছাড়া এনএসও গ্রুপের আড়ি পাতা সফটওয়্যারের মতো আরও কারও এমন সফটওয়্যার থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়