শরীফ শাওন: [২] সদস্য কারখানা মালিকদের কাছে পাঠানো চিঠিতে বিকেএমইএ জানায়, ১৪ দিনের এ লকডাউন আপনার রপ্তানি পরিকল্পনায় ব্যাঘাত ঘটালেও ভবিষ্যতে সুন্দরভাবে করোনামুক্ত পরিবেশে ব্যবসা পরিচালনার জন্য এ ত্যাগটুকু স্বীকার করতেই হবে। সরকারের নির্দেশনা প্রতিপালনের বিশেষ অনুরোধ জানিয়ে বলা হয়, আপনাদের ধৈর্য্য ও সহযোগিতা একান্ত ভাবে কামনা করছি।
[৪] চিঠিতে আরও বলা হয়, করোনার প্রথম ধাপে লকডাউন চলাকালেও শিল্পকারখানা, ব্যাংকিং সেবা ও আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু ছিল। উদ্যোক্তারা অনেক কষ্ট করে আর্থিক ক্ষতি হবে জেনেও কারখানা চালু রেখে পণ্য রপ্তানি করতে পেরেছি। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ধাপের বর্তমান ভেরিয়েন্ট অত্যন্ত মারাত্মক।
[৫] লকডাউন শেষে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পুনরায় প্রণোদনা সহযোগিতার আবেদন জানানো হবে উল্লেখ করে বলা হয়, বিগত সময়ে প্রধানমন্ত্রী ও তার সরকার আমাদের প্রণোদনা দিয়ে এ সেক্টর ও উদ্যোক্তাদের বাঁচিয়ে রাখতে সহায়তা করেছেন। বর্তমানে যে কঠিন সময় আমরা অতিবাহিত করছি, তাও সরকার অবগত। আমরা বিশ্বাস করি, বিগত সময়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের জন্য যেভাবে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করেছিলেন, তেমনিভাবে তিনি আগামীতেও আমাদের জন্য এভাবে এগিয়ে আসবেন।
[৬] বিকেএমইএ সভাপতি সেলিম ওসমান জানান, গত ১৫ মাস ধরে করোনা দুর্যোগ বিশ্বের অন্যান্য দেশের পাশাপাশি আমাদের শিল্প ও উদ্যোক্তাদের দারুন বিপর্যয়ে ফেলেছে। বিশেষ করে যারা ব্যাংক ঋণ নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করেছেন, তাদের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। এরপরও দেশের, শিল্প ও শ্রমিকের স্বার্থে আপনারা সর্বস্ব দিয়ে কারখানা চালু রেখেছেন এবং অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। আপনাদের এ অসাধারণ ত্যাগ নিঃসন্দেহে ধন্যবাদের দাবিদার।