রাহুল রাজ: [২] প্রথমবারের মতো তিন ফরমেটেই সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। অঘোষিত এ ফাইনাল। যে দল জিতবে, তারা টি-টোয়েন্টি সিরিজের ট্রফি হাতে তুলবে। এমন এক ম্যাচে বাংলাদেশের সামনে ১৯৪ রানের কঠিন এক লক্ষ্য ছুড়ে দিলো জিম্বাবুয়ে। শেষে বাংলাদেশের টাইগাররায় বিজয়ী হয়েছে। ১৯৪ রানের লক্ষ্য তাড়া পেরিয়ে গেছে ৫ উইকেট আর ৪ বল হাতে রেখে। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নিয়েছে ২-১ ব্যবধানে।
[৩] শামীম হোসেন পাটোয়ারি ব্যাট থেকে জয়ের জন্য বাংলাদেশ যখন শেষ রানটি তুলে নেয় তখনও খেলার বাকি ছিলো ৪ বল। হাতে ছিলো ৫ উইকেট। এই ম্যাচ যতোটা সহজে শেষ হয়েছে শুরুটা ততোটা সহজ ছিলো না। টসে হেরে প্রথমে ফিল্ডিং করতে নেমে জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানদের রোসানলে পড়ে টাইগার বোলারেরা। ওভার প্রতি প্রায় ১০ রান তুলে টাইগার বোলারদের ঘাম বের করে দেন।
[৪] মাদভেরির ৩৬ বলে ৫৬ রানের সঙ্গে চাকাভার ২২ বলে ৪৮ এবং শেষ দিকে বুলারের ১৫ বলে ৩১ রানের ঝড়ো ইনিংসে বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়িন্টিতে সর্বোচ্চ ২৯৩ রানে জমা করে। সৌম্য সরকার ২ উইকেট তুললেও অন্যরা ছিলো বেশ খরুচে। যদিও শরিফুল ইসলাম ভেসেছিলেন স্রোতে বিপরীতে।
[৫] ৪ ওভার বল করে ২৭ রানে নিয়েছেন ১ উইকেট। জিম্বাবুয়ের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে বাংলাদেশকে এই ম্যাচ জিততে করতে হতো নতুন ইতিহাস। সৌম্য ও নাঈম ইনিংস শুরু করে নেমে ২০ রানে নিজের ৩ রানে সাজ ঘরে নাঈম ফিরে গেলে বাংলাদেশ চাপে পড়ে যায়। তৃতীয় উইকেটে সাকিব ও সৌম্য ৫০ রানের জুটিতে জয়ের লক্ষ্যে এগুতে থাকে রিয়াদেরা। সাকিব (২৫) আউট হলে আবার দল উদ্ধারে রিয়াদ সৌম্য নিয়ে ঝড়ো গতিতে রান তুলতে থাকে।
[৬] ৪৯ বলে ৬৮ রানে সৌম্য ও ধ্রুব ১৪ রানে ফিরে গেলে বেশ চাপে পড়ে যায় বাংলার দামাল ছেলেরা। বল ও রানে ব্যবধান যখন ২৮ তখন ক্রিজে আসে বর্তমান সময়ের আলোচিত নাম শামীম পাটোয়ারী। ১৫ বলে ৩১ রানে অপরাজিত ইনিংস খেললে কাঙ্খিত শিরোপার হাতে পায় বাংলাদেশ। ম্যাচ ও টুর্নামেন্ট সেরা নির্বাচিত হয়েছেন সৌম সরকার। ঘরে মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫ টি-টোয়েন্টিতে এই জয় আত্মবিশ্বাসের টনিক হিসেবে কাজ করবে।
[৭] এদিকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজ জয় লাভে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।