শিমুল মাহমুদ: [২] করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকারের প্রতি মাসে ১ কোটি টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা আছে। কাজ চলছে সেই অনুযায়ী। রোববার দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) স্থাপিত ফিল্ড হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ তথ্য জানান।
[৩] তিনি বলেছেন, করোনা প্রতিরোধে দেশের মানুষের জন্য ২১ কোটি টিকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। টিকা সংরক্ষণ অন্যতম চ্যালেঞ্জ।
[৪] স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা সংরক্ষণ করতে হয় হিমাঙ্কের নিচে মাইনাস ৯০ ডিগ্রি থেকে মাইনাস ৬০ ডিগি সেলসিয়াসের মধ্যে। এর ফলে এ টিকা সংরক্ষণ করতে আল্ট্রা কোল্ড ফ্রিজারের প্রয়োজন হবে। আর পরিবহনের জন্য থার্মাল শিপিং কনটেইনার বা আল্ট্রা ফ্রিজার ভ্যান প্রয়োজন হবে।
[৫] তিনি বলেন, আগামী এক বছরে ২১ কোটি টিকা দেশে আসবে। কয়েকটি দেশ থেকে টিকা আনা হবে। টিকা রাখার ব্যবস্থাপনা জরুরি। তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য বিদেশ থেকে ফ্রিজ আনার পরিকল্পনা চলছে।
[৬] স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত এক কোটি ২০ লাখের মতো লোক ভ্যাকসিনেটেড হয়েছেন। আমরা যে বিভিন্ন ভ্যাকসিন অর্ডার করেছি এবং প্রতিশ্রুতি পেয়েছি তার সংখ্যা ২১ কোটি। এর মধ্যে চায়নার তিন কোটি, তিন কোটি অ্যাস্ট্রাজেনেকা, কোভ্যাক্সের সাত কোটি, রাশিয়ার এক কোটি এবং জনসন অ্যান্ড জনসন কোম্পানির সাত কোটি, যেটা আগামী বছরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। অর্থাৎ ২১ কোটি ভ্যাকসিনের আমরা ব্যবস্থা করেছি। এ ভ্যাকসিনগুলো আমাদের দেশের ৮০ শতাংশ লোককে দেওয়া যাবে।