শিরোনাম
◈ ভুয়া জুলাই শহীদ-যোদ্ধাদের নাম তালিকা থেকে বাদ, জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় ◈ কুয়াকাটা সৈকত থেকে আবারও অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার ◈ আদমদীঘিতে ভাঙা রেললাইনে কম্বল গুঁজে ১৮ ঘন্টা ট্রেন চলাচল ◈ জুলাই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করতে হলে সব ধর্মের মানুষকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা  ◈ ব্যক্তি বিবেচনায় এলএনজি কেনা হচ্ছে না, পিটার হাসের কোম্পানি প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা ◈ বিসিএস পরীক্ষা: কর্মসূচির সময় পরিবর্তন করল জামায়াত ◈ চশমা ছাড়াই স্পষ্ট দেখা সম্ভব, কার্যকর আই ড্রপ উদ্ভাবন ◈ যেসব বিষয়ে গুরুত্ব পাচ্ছে নতুন বেতন কাঠামোতে  ◈ আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা থেকে ইসরা‌য়েল‌কে বহিষ্কারের দাবি জানা‌লেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী ◈ কূটনৈতিক সংকট ছাপিয়ে বাণিজ্যে ভারত–বাংলাদেশের পারস্পরিক নির্ভরশীলতা বাড়ছে

প্রকাশিত : ২৫ জুলাই, ২০২১, ০৩:৫৬ রাত
আপডেট : ২৫ জুলাই, ২০২১, ০৩:৫৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মোহাম্মদ এ হালিম: রসায়নে একটি বহুল ব্যবহৃত কনসেপ্ট হলো ইলেকট্রোনেগেটোভিটি

মোহাম্মদ এ হালিম: রসায়নে একটি বহুল ব্যবহৃত কনসেপ্ট হলো ইলেকট্রোনেগেটোভিটি। দুটি পরমাণুর মধ্যে বিদ্যমান শেয়ারকৃত ইলেকট্রনগুলোকে নিজের দিকে নিয়ে আসার যে প্রবণতা তা ইলেকট্রোনেগেটোভিটি নামে পরিচিত। কোনো মৌলের ইলেকট্রোনেগেটোভিটি পরিমাপ করার জন্য ১৯৩২ সালে লিনাস পলিং একটি স্কেল প্রকাশ করেন। সেই স্কেল অনুযায়ী ফ্লোরিনের ইলেকট্রোনেগেটোভিটি ৪.০ এবং হাইড্রোজেনের ২.২ । তবে কীভাবে লিনাস পলিং এই স্কেলটি তৈরি করেছিলেন তা রসায়নের বইতে ব্যাখ্যা করা হয় না। ফলে রসায়নের শিক্ষক ও ছাত্ররা অনেকটা না-জেনেই পলিংয়ের স্কেলটি ব্যবহার করেন ।

লিনাস পলিং দুটি পরমানুর মধ্যে ইলেকট্রোনেগেটোভিটির পার্থক্য পরিমাপ করার জন্য বন্ড ডিসোসিয়েশন শক্তিকে ব্যবহার করেন। এক্ষেত্রে তিনি নিন্মোক্ত সমীকরণ ব্যবহার করেন। তিনি ধারণা করেন যে, দুটি ভিন্ন পরমাণুর (A-B) মধ্যে বিদ্যমান বন্ধন শক্তি, একই পরমানু দুটির (A-A) এবং (B-B) মধ্যে বিদ্যমান বন্ধন শক্তির গড় অপেক্ষা বেশি যেহেতু ভিন্ন পরমানুর দুটি বন্ধন গঠন করার পরেও ইলেকট্রোনেগেটোভিটি পার্থক্য থাকায় তারা আংশিক চার্জিত অবস্থায় থাকে এবং শক্তিশালী বন্ধন গঠন করে। এ ধারণার ওপর ভিওি করে তিনি হাইড্রোজেনের সাপেক্ষে ৩৩টি মৌলের জন্য ইলেকট্রোনেগেটোভিটির পার্থক্য পরিমাপ করেন এক্সপেরিমেন্টাল বন্ড ডিসোসিয়েশন শক্তি থেকে। যেমন : H-F, F-F Ges H-H বন্ড ডিসোসিয়েশন শক্তি যথাত্রুমে ৫.৮৫, ১.৬০ এবং ৪.৪৭ ইলেকট্রন ভোল্ট (বঠ) । এই শক্তিগুলোকে সমীকরণে বসালে H-F এর ইলেকট্রোনেগেটোভিটির পার্থক্য পাওয়া যায় ১.৬৭ ।

একইভাবে H-Cl, H-Br এবং H-I ইলেকট্রোনেগেটোভিটির পার্থক্য পাওয়া যায় ০.৯৮, ০.৭৩, ০.২২ । এই সংখ্যাগুলোর সাথে পলিং হাইড্রোজেনের ইলেকট্রোনেগেটোভিটি ২.২ যোগ করেন তার স্কেলটিকে ‘৪’-এ প্রকাশ করার জন্য । সেক্ষেত্রে F, Cl, Br এবং ও ইলেকট্রোনেগেটোভিটি হয় ৩.৮৮, ৩.১৮, ২.৯৩ এবং ২.৪২ ।

আমি এখানে NIST ডাটাবেজে থাকা ১৯৭০ সালের বন্ড ডিসোসিয়েশন শক্তি ব্যবহার করে পলিং স্কেলটি দেখানোর চেষ্টা করেছি যাতে পলিং স্কেলের সাথে সামান্য পার্থক্য পাওয়া যায়। ১৯৬১ সালে আধ্যাপক অলরেড ৬৯টি মৌলের জন্য পলিং স্কেলটি সংশোধন করেন নতুন বন্ড ডিসোসিয়েশন শক্তি ব্যবহার করে। পলিং ছাড়াও আরও অনেকে ইলেকট্রোনেগেটোভিটির স্কেল প্রদান করেছেন ভিন্নভাবে এরমধ্যে অন্যতম হলে রবার্ট মুলিকেন, যা নিয়ে পরে আরেকদিন আলোচনা করবো।

কিছুদিন আগে ৩০ জন হাইস্কুল ও কলেজ ছাত্র রেড-গ্রীনে রিসার্চ ইন্টার্শিপের জন্য ট্রেইনিং শেষ করেছে। এদের মধ্যে ৫ জনের গবেষণার বিষয় হলো কিভাবে সম্পূর্নভাবে ধন initio theory দিয়েও ইলেকট্রোনেগেটোভিটির স্কেল তৈরি করা যায়। লিনাস পলিং ও রবার্ট মুলিকেনের স্কেলের সাথে ধন initio ইলেকট্রোনেগেটোভিটির স্কেলের কো-রিলেশন কী রকম হবে এবং তাদের মধ্যে তুলনামূলক পর্যালোচনা করাও হবে তাদের গবেষণার বিষয়। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়