আবু নাসের হুসাইন: [২] ফরিদপুরের সালথায় পাট কাটার পর এবার পাটের আঁশ ছাড়ানো নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষীরা। এবছরে পাটের ফলন কম, দামও কম। লাভের মূখ দেখছেন না কৃষকরা।
[৩] উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, পাট উৎপাদনে ফরিদপুরের সালথা উপজেলা অন্যতম। উপজেলার মোট আয়তন ১৮৫.১২ বর্গ কিলোমিটার। মোট আবাদী জমি ১৩ হাজার ৪শ’ ৪২ হেক্টর। এবার সালথায় ১২ হাজার ১শ’ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ করা হয়েছে।
[৪] উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের পাট চাষী হাবিব মোল্যা ও আকমল খান জানান, অতি বৃষ্টির কারণে উপজেলার নিম্নাঞ্চলে পানি জমে যাওয়ায় সময়ের আগেই পাট কাটার কাজ শুরু করা হয়। যার কারণে ফলন আগের বছরের চেয়ে কম হবে। একদিকে পাটের ফলন কম অন্যদিকে পাটের বাজার মুল্যে প্রতিমণ ২২শ' টাকা থেকে ২৫শ' টাকা। সেজন্য লাভের কোন সম্ভাবনা নাই। যদি পাটের দাম প্রতিমণ ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার হতো তাহলে কৃষকের কিছুটা লাভ হতো।
[৫] উপজেলা উপ-সহকারী পাট উন্নয়ন অফিসার আব্দুল বারী বলেন, এবছরে ঘন বৃষ্টির জন্য পাটের ক্ষেতে পানি জমাট বেঁধে যায়। তাই সময়ের আগেই পাট কাটা শুরু করে চাষীরা। তাই পাটের ফলন কিছুটা কম হচ্ছে। করোনার কারণে বিদেশে পাট রপ্তানী বন্ধ থাকায় পাটের বাজারমূল্যে কমে গেছে। বিদেশে পাট রপ্তানী শুরু হলে পাটের দাম বৃদ্ধি পাবে।