সমীরণ রায়: [২]কোরবানির সংযম ও ত্যাগের মানসিকতায় উজ্জীবিত হয়ে মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী
[৩] ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান থেকে করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি, এক মাস পার না হতেই গোটা বিশ্বকে আতঙ্কিত করে সর্বগ্রাসী রূপ নেয় কোভিড-১৯। স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বিশ্ব জুড়ে সব ধরনের উৎসব পালন বন্ধ রয়েছে। করোনাকালে দ্বিতীয় ঈদ-উল আজহা উদযাপন হচ্ছে তুলনামূলক সীমিত পরিসরে। আট দিনের জন্য করোনার বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছে, ২৩ জুলাই থেকে ফের শুরু হবে। এবারকার বিধিনিষেধ হবে আরো কঠোর।
[৪ রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসী ও সারাবিশ্বের মুসলমানদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। মঙ্গলবার পৃথক পৃথক বাণীতে তারা সবার শান্তি, সমৃদ্ধি ও মঙ্গল কামনা করেছেন।
[৫] আবদুল হামিদ বলেন, এ বছর এমন একটা সময়ে ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে যখন বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্ব করোনাভাইরাসের সংক্রমণে চরমভাবে বিপর্যস্ত। করোনার কারণে দেশের জনগণের জীবন ও জীবিকা আজ কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। জীবন বাঁচানো প্রথম অগ্রাধিকার হলেও জীবিকার গুরুত্বও অনস্বীকার্য।
[৬] প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঈদুল আজহার এই দিনে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ও মুসলিম উম্মাহর উত্তরোত্তর উন্নতি, সমৃদ্ধি ও অব্যাহত শান্তি কামনা করেন তিনি।
[৭] প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এক সংকটময় সময়ে ঈদুল আজহা উদযাপন করছি। করোনাভাইরাস সমগ্র বিশ্বকে স্থবির করে দিয়েছে। সরকার পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে। জনগণকে সব সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত রাখছে। এই বিপদের সময় স্বাস্থ্যকর্মী, ডাক্তার, নার্স, পুলিশ, প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী, সশস্ত্রবাহিনী, সাংবাদিক, ব্যাংকার ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ যারা জীবন বাজি রেখে মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন তাদের সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান সরকার প্রধান।
[৮] তিনি বলেন, আমরা যেন ঘরে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগ করি। পাশাপাশি আল্লাহ তায়ালার দরবারে বিশেষ দোয়া করি, যেন এই সংক্রমণ থেকে আমরা সবাই দ্রুত মুক্তি পাই। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব