রাশিদ রিয়াজ : রাশিয়ার বাজার পেতে ইরান দেশটিতে জ্ঞান ভিত্তিক পণ্য বিপণনের একটি কেন্দ্র খুলেছে। রাশিয়া সহ ওই অঞ্চলের দেশগুলোতে ইরানের তৈরি এধরনের পণ্যের বাজার খুঁজবে এ কেন্দ্র। এর আগে কেনিয়া, চীন ও সিরিয়ায় এধরনের বিপণন কেন্দ্র খুলেছে ইরান। মস্কোর সেরা বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক এলাকায় ইরান এ কেন্দ্রটি খুলেছে। ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও এধরনের পণ্য তৈরি ও প্রযুক্তির সম্প্রসারণে ইরান অনেক দূর এগিয়েছে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে পরিচিতি পেয়েছে। উদ্ভাবনী চিন্তু ও ধারণায় সমর্থন, কারিগরী সহায়তা ও এধরনের পণ্যের নিয়মিত আয়োজনের মধ্যে দিয়ে ইরান এ খাতটিতে ব্যাপক উন্নয়ন করতে পেরেছে। ইরানের জ্ঞান ভিত্তিক পণ্য উৎপাদন প্রতিষ্ঠানগুলো শিল্প প্রসার ও পণ্য উৎপাদনের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন দেশের প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছে ও প্রশংসা কুড়াচ্ছে। এর ফলে এধরনের পণ্যের রফতানিও বেড়েছে। গত ফার্সি বছরে এধরনের পণ্য রফতানি আয় ছিল ৮শ মিলিয়ন ডলার। আগামী ফার্সি বছর এ রফতানি আয় ২ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যেতে চায় ইরানি উদ্যোক্তারা।
গত ৫ বছরে ধারাবাহিকভাবে এ খাতের উন্নয়নে ইরানের এসব পণ্য প্রতিবেশি দেশগুলো ছাড়াও দক্ষিণপূর্ব এশিয়া, ইউরোএশিয়ায় ব্যাপক বাজার পাচ্ছে। এসব পণ্যের গ্লোবাল ইনোভেশন ইনডেক্সে ইরানের অবস্থান রয়েছে ৪৫তম স্থানে। ২০১৫ থেকে ২০১৯ সালে ১০৬তম স্থান থেকে ইরান এ তালিকায় উঠে আসে ৬১তম স্থানে। এসময়ে ৪৫ ধাপ এগিয়েছে ইরান। ইরানে এসব পণ্য তৈরির উদ্যোক্তা রয়েছেন ৪৯ জন এবং উদ্ভাবনী কেন্দ্রের সংখ্যা ১১৩টি। এমন পণ্য তৈরির কোম্পানির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার। বিমান রক্ষণাবেক্ষণ, ইস্পাত, ওষুধ, মেডিকেল যন্ত্রপাতি, তেল ও গ্যাস খাত ছাড়াও অন্যান্য খাতে নিরন্তর গবেষণা ও প্রযুক্তি বিকাশের মাধ্যমে এধরনের পণ্য আমদানিও ব্যাপক হ্রাস পেয়েছে ইরানে। তেহরান টাইমস