মাহামুদুল পরশ: [২] শহুরে জীবনের কথা ভাবতেই প্রথমে চোখে ভাসে ইট, পাথর আর কংক্রিটের দালানের এক জঙ্গল। শহরের এই সারি সারি দালান হরেক রকম রঙে সজ্জিত হলেও তার মঝে নেই প্রকৃতির কোন ছাপ। দালানগুলোকে দেখলেই বোঝাযায় প্রকৃতিকে খোলা হাতে খুন করেই তৈরি করা হয়েছে এগুলোকে।
[৩] দালান বলতেই যে চিত্র আমাদের সামনে ভেসে উঠে, ঠিক তার বিপরিত চিত্র ফুটে উঠেছে রংপুরের আরডিআরএস ভবনে। প্রথম দেখাতেই মনে হবে প্রকৃতি যেন তার চাঁদরে মুড়ে রেখেছে ভবনটিকে।
[৪] বেসরকারি উন্নয়নমূলক সংস্থা আরডিআরএস এর রংপুরের প্রশাসনিক ভবনটির নকশা করেছেন স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন। ২৫ একর জমির উপর ৫ম তলা বিশিষ্ট এই দালানটিতে ১৯৮৯ সালে নিজেদের কার্যক্রম শুরু করে আরডিআরএস।
[৫] ভবনটিকে দৃষ্টিনন্দন করার জন্য অস্ট্রেলিয়া থেকে লতা জাতীয় উদ্ভিদ ত্রিপার নিয়ে এসে রোপন করা হয় ভবনটির দেয়ালে। চারা রোপণের এক বছর পর সবুজে ঢাকা পরে ভবনটি। ভবনটির বিষয়ে আরডিআরএস এর পরামর্শক মোহাম্মদ আসলাম পারভেজ জানান, মূলত গ্রীন হাউসের জন্য চারা রোপণ করা হয়েছে।
[৬] তিনি আরও জনান, ভবনের গায়ের এই লতাপাতার জন্য ভবনটির অভ্যন্তরে সবসময় একটি ঠান্ডা পরিবেশ বিরাজ করে। এসি খরচ তুলনামূলক অনেক কম আসে। ভবনটিতে বিদেশ থেকে আনা ৫০ টির বেশি ফলের গাছ রয়েছে বলে জানান তিনি।
[৭] রংপুর নগরির ধাপ এলাকায় অবস্থিত এই ভবনটির পাশ দিয়ে চলাচলের সময় কারো দৃষ্টি আটকাবেনা এমনটি হতেই পারেনা। প্রতিদিন এই ভবনটিকে দেখতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থীরা ভিড় করে। তবে দৃষ্টিনন্দন এই ভবনটির সৌন্দর্য ধরে রাখতে প্রতিষ্ঠানটিকে প্রতিবছর প্রায় ৪ লাখ টাকা গুনতে হয়। প্রতি ৬ মাস অন্তর ভবনের দেয়ালের চারাগুলোকে কেটে ছোট করে দিতে হয়। যার একবারের খরচ প্রায় ২ লাখ টাকা। তবে আরডিআরএস এর কর্মকর্তারা মনে করেন, এমন দৃষ্টিনন্দন পরিবেশ প্রতিনিয়ত তাদের মোহিত করে রাখে।
আপনার মতামত লিখুন :