মাহামুদুল পরশ: [২] করোনা সংক্রমণের প্রথম ঢেউয়ে শিশু এবং তরুণদের তুলনায় বৃদ্ধদের মৃত্যুহার বেশি ছিলো। কিন্তু নতুন করে ডেল্টা ভেরিয়েন্টের সংক্রমণে গত ২ মাসে ২১ থেকে ৪০ বছরের তরুণদের মৃত্যুহার অগের তুলনার অনেকটাই বেশি ছিলো। তাছাড়াও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে সকল বয়সিদের মধ্যে।
[৩] এই বিষয়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরি বলেন, প্রথম যে করোনা ভাইরাস এসেছিলো তার থেকে যুক্তরাজ্যের ভেরিয়েন্ট ছিলো ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ বেশি সংক্রমনশীল। অন্যদিকে যে ডেল্টা ভেরিয়েন্টের আলোচনা করা হচ্ছে এটি যুক্তরাজ্যের ভেরিয়েন্টের থেকে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ বেশি সংক্রমনশীল।
[৪] তিনি আরও বলেন, আগের ভাইরাস বয়স্কদের বেশি সংক্রমিত করতো। আগের ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত ১০০ জনের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হতো ২০ অথবা ২৫ জন। অন্যদিকে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হওয়ার ১০০ জনের মধ্যে ৮৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে। ফলে রোগি এবং মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই ভ্যারিয়েন্ট তরুণ এবং শিশুদের ক্ষেত্রেও অতিমাত্রায় সংক্রমক তাই এক্ষেত্রেও রোগি এবং মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বাড়ছে।
[৫] এর সামাধান হিসেবে ভ্যাকসিনের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন ডা. লেলিন চৌধুরি। তিনি বলেন, বিশেষ কিছু ক্ষেত্র ছাড়া ভ্যাকসিনের ২ টি ডোজ নেয়ার পরে মৃত্যুঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। তাই দেশের সব মানুষকে টিকার আওতায় আনতে হবে। তাহলেই এই মৃত্যুহার কমানো সম্ভব।