শরীফ শাওন: [২] পোশাক শ্রকিদের করোনা সংক্রমণ থেকে সুরক্ষায় স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়, আইএলও ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শে বিজিএমইএ সদস্যভূক্ত কারখানাগুলোর জন্য স্বাস্থ্য বিধি বা প্রটোকল প্রণয়ন করেছে। পোশাক কারখানাগুলো কঠোরভাবে এই স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিচালিত হচ্ছে।
[৩] বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান আরও বলেন, কারখানাগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কিনা তা মনিটরিং করা হচ্ছে। শ্রমিকদের করোনা পরীক্ষায় গাজীপুরের চন্দ্রায় বিশ্বমানের পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। এসব ব্যবস্থার মাধ্যমে শ্রমিকদের সংক্রমনের হার দশমিক শুণ্য ৩ শতাংশের রাখা সম্ভব হয়েছে।
[৪] কর্মপরিবেশ নিয়ে আগের দিন এক সেমিনারে তিনি জানান, আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডসমূহ, আইএলও এর মতো দাতাসংস্থার সহায়তায় স্থাপত্য, অগ্নি ও বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা ক্ষেত্রে অনন্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। শ্রম আইন দু’বার সংশোধনের মাধ্যমে কর্মপরিবেশে শ্রমিকদের কল্যান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রত্যেক কারখানায় সেফটি কমিটি ও শ্রমিকদের পার্টিসিপেশন কমিটিও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কেন্দ্রিয় তহবিল গঠিত হয়েছে, যেখানে শ্রমিকদের কল্যানে ব্যয় করার জন্য পোশাক কারখানাগুলো তাদের রপ্তানি আয় প্রাপ্তির বিপরীতে ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদান করছে।
[৫] ফারুক হাসান বলেন, নব্বই দশকের মাঝামাঝিতে শিশুশ্রম অপসারণ এবং নিম্নতম মজুরি নিশ্চিত করে যথা সময়ে মজুরি পরিশোধ, কর্ম পরিবেশ স্বাস্থ্যসম্মত রাখা এবং এ ধরনের আরও অনেক কমপ্লায়েন্স প্রতিপালন শুরু করেছিলো। আজ এ শিল্পটি কমপ্লায়েন্স ও শ্রম অধিকারের সকল ইস্যুতেই নিবিড়ভাবে কাজ করছে।
আপনার মতামত লিখুন :