সৈয়দ আহমেদ ভূঁইয়া, সৌদি আরব: [২] করোনার শুরু থেকে সৌদি আরবের জেদ্দা, মক্কা-মদিনাসহ দেশটির বিভিন্ন এলাকায় যেখানেই প্রবাসী বাংলাদেশিরা বিপদে রয়েছেন, সেখানেই ছুটে গিয়ে গোপনে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন আব্দুর রহমান।
[৩] প্রবাসীদের আকামা নবায়ন, নগদ অর্থায়ন ও উপহার সামগ্রীতে এখন পর্যন্ত প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যয় করেছেন তিনি। আকামা নবায়নে ২০ জন প্রবাসীকে ৫০০ সৌদি রিয়াল করে দিয়েছেন। এছাড়া উপহার সামগ্রী হিসেবে একেকটি ফুড বাস্কেটে দিয়েছেন ১০ কেজি চাল, ২ কেজি তেল, ১ কেজি চিড়া, ৫ কেজি আলু ও নগদ ১০০ সৌদি রিয়াল।
[৪] গণমাধ্যম ও প্রচারে আসা থেকে নিজেকে বেশ গুটিয়ে রাখা আব্দুর রহমান বলেন, ১৯৯৭ সালে সৌদি আরবে এসে ভাইয়ের দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ শুরু করেন। ১৯৯৮ সালের শেষ দিকে নিজেই প্রথম একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোর দিয়ে ব্যাবসা শুরু করেন।
[৫] এর পর আর থেকেই তাকে আর পিছনে তাকাতে হয়নি। বর্তমানে তার পাঁচটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, খাবারের হোটেল এবং ‘আল আমিন’ নামে একটি কোম্পানির পরিচালক।
[৬] তার প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রায় ৭০০ বাংলাদেশির কর্মসংস্থানের সুযোগ হলেও পরবর্তীতে সৌদি সরকারের আইনের ফলে এখন প্রায় ২০০ বাংলাদেশি সেখানে কাজ করছেন। শ্রমিকদের থাকা-খাওয়া এবং বেতন প্রতি মাসের ৩০ তারিখের মধ্যে পরিশোধ করেন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের আব্দুর রহমান।
[৭] নিজ জেলায় বাবার নামে মরহুম-আব্দুল করিম ফাউন্ডেশন নামে একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান ঘরে তুলেছেন এবং এলাকায় বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসা এতিমখানায়ও প্রতি মাসে দুই লাক্ষ টাকার বেশি অনুদান দিয়ে থাকেন তিন সন্তানের এই জনক।
[৮] তিনি বলেন, মানবিক কাজের মধ্যে অন্যরকম প্রশান্তি আছে। যখন কোনো আসহায়, দুস্থ মানুষকে সাহায্যের মাধ্যমে তার মুখে হাসি ফোটাতে পারি, তখন হৃদয়টা প্রশান্তিতে ভরে যায়। এ প্রশান্তি আর কোথাও পাইনা। মানব সেবার মধ্য দিয়ে সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি অর্জন ও পরকালীন সফলতাই আমার মূল লক্ষ্য।
[৯] প্রত্যেকেই যদি নিজের জায়গা থেকে সমাজের অসহায় মানুষদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসে, তবে এ পৃথিবীটা মানবিক বিশ্ব হিসেবে গড়ে উঠবে। ব্যক্তিগত জীবনে আব্দুর রহমান সন্তানের গর্বিত পিতা।
[১০] সৌদি আরবে প্রবাসীদের কাছ থেকে দানবীর খেতাব পেয়েছেন তিনি। সৌদি আরবে দল মত নির্বিশেষে সকল প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে সমান শ্রদ্ধা ও প্রশংসা কুড়িয়েছেন রহমান আব্দুর রহমান। জেদ্দার বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের উপদেষ্টা ও সফল ব্যক্তিত্ব হিসেবে স্থান করে নিয়েছেন তিনি।