লিহান লিমা: [২] পবিত্র হজ্ব পালনের জন্য শত শত আবেদনকারীর মধ্য থেকে মাত্র ৬০ হাজার করোনার টিকাগ্রহীতাকে হজ্ব পালনের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। সোমবার আরাফাতের ময়দান থেকে শুরু হবে পাঁচ দিনের আনুষ্ঠানিক হজ্বযাত্রা। আল জাজিরা
[৩] এই প্রথমবারের মতো পুরুষ অভিভাবক ব্যতিত নারীদের হজ্ব পালনের অনুমতি দিয়েছে সৌদিআরব। ৫০ বছর বয়সী আমিনা বলেন, ‘মহামারীর এই সময়ে অন্য নারীদের সঙ্গে হজ্ব পালনের সুযোগ পেয়ে আমি খুব খুশী।
[৪] তবে অনেকই প্রশ্ন তুলছেন এ বছর হজ্ব পালনের খরচ নিয়ে। সৌদিআরবের বাসিন্দা ৪০ বছর বয়সী সাইফ জানান তার এ বছর হজ্ব পালনের পরিকল্পনা ছিলো কিন্তু এবার হজ্বের আর্থিক খরচ তার সামর্থের বাহিরে চলে গিয়েছে। তিনি বলেন, ‘৬ বছর আগে আমি মাত্র ৩ হাজার রিয়েল দিয়ে হজ্ব পালন করেছি। কিন্তু এ বছর দিতে হবে ২০ হাজার রিয়েল। তাই আমি আবেদন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ সাইফ আরো বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ বলছে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা ব্যবস্থায় বাড়তি ব্যয়ের কারণে এবার খরচ বেশি হচ্ছে, কিন্তু এ অর্থ অতিরিক্ত। এ বছরের হজ্ব কেবলমাত্র ধনীদের জন্য ।’ তিনি দাবী করেন, যে পরিমাণ মানুষকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে, ঠিকমত স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলেও যে পরিমাণ স্থান রয়েছে তাতে এর দ্বিগুণ মানুষকে হজ্বের অনুমতি দেয়া যেতো।
[৫] নিজের স্ত্রীসহ এ বছর হজ্ব পালনের পরিকল্পনা করা সত্তে¡ও অতিরিক্ত অর্থের কারণে তা বাদ দিতে বাধ্য হয়েছেন ইব্রাহিম। তিনি বলেন, ‘প্রতিবছর যেখানে লাখ লাখ মানুষ হজ্ব পালন করে এবার তা মাত্র কয়েক হাজার। যদি আমার টাকা থাকতো তবে আমি অবশ্যই যেতাম। কারণ এবারের হজ্ব অনেক শৃঙ্খল এবং সু-ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে হবে সেই সঙ্গে বিলাসবহুল অভিজ্ঞতাও হতো।’
[৬] সৌদিআরবের হজ্ব ও উমরাহ মন্ত্রণালয় জানায়, মহামারী সত্তে¡ও সৌদিআরবের প্রায় সাড়ে চার লাখ নিবন্ধন শুরুর প্রথম ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আবেদন করেছিলেন। যারা গত ৫ বছর হজ্ব পালন করেন নি এবং যাদের বয়স ৫০ বছরের ওপরে এবং আগে হজ্ব করার সুযোগ পান নি তাদের অগ্রাধিকার দেয়া হয়।
[৭] মহামারীর আগে সারা বিশ্ব থেকে প্রায় ২৫ লাখের মতো হাজী অংশ নিলেও করোনা ভাইরাস জনিত বিধি-নিষেধের কারণে গত বছরও কোনো বিদেশীকে হজ্ব পালনের অনুমতি দেয়া হয় নি। এ বছর ১৮ থেকে ৬৫ বছর পর্যন্ত টিকাগ্রহণ করা ৬০ হাজার সৌদি নাগরিক ও অধিবাসীকে হজ্ব পালনের জন্য নিবন্ধন করার অনুমতি দেয়া হয়। এর আগে গত বছর ১০ হাজার সৌদি নাগরিক ও অধিবাসী হজ্ব পালনের অনুমতি পেয়েছিলেন। সৌদিআরবের উপস্বাস্থ্যমন্ত্রী হানি জোধকার বলেন, ‘অংশগ্রহণ সীমিত করা হয়েছে কারণ আমরা চাইনা হজ্ব সংক্রমণের হটস্পটে পরিণত হোক।