শিমুল মাহমুদ: [২] করোনার মধ্যে নির্ধারিত সময়ের আগেই এবার ঢাকাসহ সারাদেশে কোরবানির গরুর হাট বসেছে। অথচ সরকারে দেওয়া ৪৬টি শর্তের প্রথম শর্তে বলা হয়েছে, হাট বসার দু দিনের বেশি আগে গরু আনা যাবে না।
[৩] শুক্রবার রাজধানীর শাহজাহানপুর, হাজারীবাগ, জিগাতলা হাট ঘুরে দেখা যায়, বিক্রেতা ও ক্রেতাদের বড় একটি অংশ স্বাস্থ্যবিধি, সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক সংক্রান্ত উদাসীন।
[৪] শর্তে বলা ছিলো, তিন ফুট দূরত্ব বজায় রেখে হাটে গবাদি পশু তুলতে হবে। হাটে ক্রেতা-বিক্রেতা সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। আর গরু কিনতে দুই জনের বেশি হাটে যেতে পারবেন না।
[৫] হাটে প্রবেশের পথে শরীরের তাপমাত্রা মাপা ও সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা থাকবে। হাটের ভিতরেও হাত ধোয়ার ব্যবস্থা। হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থাও রাখতে হবে প্রতিটি হাটে। মেডিকেল টিম থাকবে।
[৬] শাহজাহানপুর কোরবানির পশুর হাটে প্রবেশ করতেই দেখা গেল সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে করোনা মহামারী থেকে রক্ষা পেতে প্রজেক্টরের মাধ্যমে মাস্ক ব্যবহার করা সাবান দিয়ে হাত ধোয়া সহ নানান বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচার হচ্ছে। কিন্তু হাটে সেই অর্থে স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি অনেককে। অধিকাংশের মুখে মাস্ক নেই। নেই সামাজিক দূরত্ব। বরঞ্চ দেশের বিভিন্ন জায়গায় থেকে গরু নিয়ে আসা শ্রমিকরা পাশাপাশি গোসল করছে এবং গাদাগাদি করে ঘুমিয়ে রয়েছে পাশে নির্দিষ্ট জায়গায়।
[৭] শাজাহানপুরের পশুর হাটের ইজারাদার আব্দুল লতিফ বলেন, এখনো হাট জমে ওঠেনি, আগামী দু'একদিনের মধ্যেই কেনাবেচা জমে উঠবে।
[৮] অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না এ বিষয়ে তিনি বলেন, এখনও হাট শুরু হয়নি সেভাবে, স্বাস্থ্য বিধি মানার জন্য মাস্ক, স্যানিটাইজ রয়েছে। কিন্তু তারপরও স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যাচ্ছে না কেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সরকারি তো পুরোপুরি স্বাস্থ্যবিধি মানাতে পারে না সে ক্ষেত্রে আমরা কি করতে পারি।