সুজন কৈরী: [২] অভিনব কায়দায় ইয়াবা বহনকালে শুক্রবার সকালে ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা গুলশান বিভাগ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বাচ্চু মিয়া ও সুলতান মাহমুদ। তারা সম্পর্কে দুলাভাই ও শ্যালক। তাদের কাছ থেকে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
[৩] অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া ডিবি গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান জানান, আন্তঃজেলায় চলাচলকারী একটি লবণ ভর্তি ট্রাকের মধ্যে ইয়াবা নিয়ে আসার তথ্য পেয়ে রাজধানীর খিলক্ষেতের কুরাতলী এলাকায় চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়। এ সময় সন্দেহজনক ট্রাক থামিয়ে তল্লাশি করে ট্রাকের বিভিন্ন পার্টসের মধ্যে ও সিটের নিচে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা অবস্থায় ইয়াবাগুলো উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার ইয়াবার মূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা।
[৪] তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে বগুড়া শেরপুরের বিভিন্ন মেইল থেকে ১৪ হতে ১৫ টন চাল কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বহন করে নিয়ে যেতেন। ফেরার পথে ইয়াবা সংগ্রহ করে ঢাকা, গাজিপুর, রাজশাহী, রংপুর এবং বগুড়া অঞ্চলের ইয়াবা ব্যবসায়ীদের কাছে চালান পৌঁছে দেওয়ার জন্য ট্রাকসহ চালক ও হেলপার ভাড়া করতেন। এবার টেকনাফের নাপিতখালি থেকে সাড়ে ১৩ টন লবণ নিয়ে আসার সময় এই বিপুল পরিমাণ ইয়াবা কৌশলে বহন করে নিয়ে আসে।
[৫] মশিউর রহমান বলেন, আসন্ন ঈদুল আযহার সময় চামড়া সংরক্ষণের জন্য প্রচুর পরিমাণ লবণের দরকার হয়। সেজন্য ঈদুল আযহার সময় লবণ একটা অত্যন্ত প্রয়েজনীয় উপকরণ বিবেচনা করে হাইওয়ে, জেলা এবং মেট্রোর ট্রাফিক পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এদের নির্বিঘ্নে যাতায়াতের ব্যবস্থা করে থাকে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে গ্রেপ্তারকৃতরা বিশাল এই মাদকের চালান বহন করে নিয়ে আসছিলো।
[৬] এর আগেও গ্রেপ্তারকৃতরা তিনটি মাদকের চালান কৌশল অবলম্বন করে পৌঁছে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হয়েছে।