আমিরুল ইসলাম : [২] নিরাপত্তা বিশ্লেষক এয়ার কমোডর (অব.) ইসফাক ইলাহি চৌধুরী বলেন, আফগানিস্তানে তালেবানদের উত্থান দেশে জঙ্গিবাদের মদদ যোগাবে। করোনা মহামারির কারণে যে সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে, এর সুযোগ নিতে পারে জঙ্গিরা। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ঘরে বসে আছে, তরুণদের অনেকেই বেকার, এটা জঙ্গিদের নতুন সদস্য সংগ্রহে সাহায্য করবে।
[৩] পাহাড়ে অসংখ্য মসজিদ-মাদ্রাসা ঘরে উঠেছে সরকারি জমিতে, এসব কোনো নজরধারীতে নেই। পাহাড়ে বাঙালি অধ্যুষিত এলাকার বেকার যুবকদের জঙ্গি আদর্শে উদ্বুদ্ধ করা খুবই সহজ। পাহাড়ি এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নজরদারি রাখা দরকার।
[৪] নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলী শিকদার বলেন, পাহাড়ে জঙ্গি তৎপরতা থামাতে প্রযুক্তিনির্ভর মনিটরিং দরকার নতুন করে আমরা যে জঙ্গি তৎপরতা দেখছি, এটা তাদের একটা চলমান কার্যক্রম। জঙ্গি তৎপরতা বাংলাদেশে কখনোই থেমে নেই। বড় ধরনের কোনো ঘটনা হয়তো তারা ঘটাতে পারছে না। কিন্তু জঙ্গিবাদের বিস্তার হচ্ছে অবাধে।
[৫] জঙ্গিরা সুবিধা অনুযায়ী যেখানেই পারছে সেখানেই সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে। পাহাড় ও দুর্গম এলাকাগুলোতে জনবসতি কম থাকায় তারা এ এলাকাগুলো বেছে নেয়।
[৭] দেশে অব্যাহত জঙ্গিতৎপরতাকে কখনো ওভারলুক ও খাটো করে দেখা যাবে না। এমনটি করলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে।