শিরোনাম
◈ ফ্রা‌ন্সের লিও শহ‌রের কসাই থেকে গাজার কসাই: ইতিহাসে বারবার অপরাধীদের বাঁচিয়েছে আমেরিকা ◈ রিজার্ভে বড় সাফল্য: আইএমএফের লক্ষ্য ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ, প্রবাসী আয়ে রেকর্ড প্রবৃদ্ধি! ◈ আদানির বকেয়ার সব টাকা পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ ◈ মাঠে ছড়িয়ে থাকা লেবু ও  ডিম দে‌খে ম্যাচ খেলতে আসা ‌ক্রিকেটাররা ভয়ে পালালেন ◈ ভারতীয় ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফরে আপত্তি মোদি সরকারের! ◈ উনি ক্লাসে বাজে ঈঙ্গিতপূর্ণ কথা বলার পাশাপাশি বডি শেমিং করেন ◈ এবার নিউ ইয়র্ক মেয়রপ্রার্থী মামদানিকে গ্রেপ্তারের হুমকি ট্রাম্পের!, তীব্র প্রতিক্রিয়া ◈ বউ পেটানোয় শীর্ষে খুলনা ও বরিশালের মানুষ: বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (ভিডিও) ◈ ক‌ষ্টের জ‌য়ে ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনা‌লে রিয়াল মা‌দ্রিদ ◈ দুপু‌রে এ‌শিয়ান কাপ বাছাই‌য়ে স্বাগ‌তিক মিয়ানমা‌রের বিরু‌দ্ধে লড়‌বে বাংলাদেশ নারী দল

প্রকাশিত : ১৪ জুলাই, ২০২১, ১১:৫৬ রাত
আপডেট : ১৪ জুলাই, ২০২১, ১১:৫৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

’১৯ সালের ভোটাররা যোগাযোগ করলেই পাবেন স্মার্টকার্ড

নিউজ ডেস্ক:  ভোটার হয়েছেন কিন্তু এখনো কোনো জাতীয় পরিচয়ত্র (এনআইডি) বা স্মার্টকার্ড পাননি, এমন নাগরিকরা মাঠ কার্যালয়ে যোগাযোগ করলেই পাবেন স্মার্টকার্ড। ২০১৯ সালে যারা ভোটার হয়েছেন তাদের দেওয়া হচ্ছে উন্নতমানে এই পরিচয়পত্র।

ইসির মাঠ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, করোনাকালেও তারা সেবা অব্যহত রেখেছেন। ঢাকা মহানগরীতে সপ্তাহের মঙ্গলবার এবং ঢাকার বাইরে সুবিধা অনুযায়ী অফিস খোলা রেখে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে যারা এখনো ভোটার হননি, জরুরি ভিত্তিতে আবেদনের প্রেক্ষিতে তাদের ভোটার করে নেওয়া হচ্ছে।

জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৩ এপ্রিল ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু করে ইসি। চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে ২০২০ সালের ১ মার্চ। সেই সময় নতুন ৫৫ লাখ ভোটার তালিকায় যুক্ত হন।

এসব ভোটারদের মধ্যে যিনি যে উপজেলায় বা থানার অধীনে ভোটার হয়েছেন, সেই নির্বাচন কার্যালয়ে যোগাযোগ করলেই পেয়ে যাবেন স্মার্টকার্ড। পর্যায়ক্রমে অন্যদেরও হবে এই কার্ড।

উত্তরা থানা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম জানান, প্রতি মঙ্গলবার আমরা করোনাকালে অফিস খোলা রাখছি। প্রিন্ট হয়ে স্মার্টকার্ড আমাদের সকল থানা/উপজেলা কার্যালয়ে চলে এসেছে। আগ্রহীরা স্বশরীরে যোগাযোগ করলেই নিতে পারবেন স্মার্টকার্ড।

ভোটারদের স্মার্টকার্ড দেওয়ার লক্ষ্যে ২০১১ সালের বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় আইডিইএ প্রকল্পটি হাতে নেয় ইসি। সেই সময়কার ৯ কোটি ভোটারদের হাতে উন্নতমানে এই জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সেই সিদ্ধান্তের আলোকে ফরাসি কোম্পানি অবারথার টেকনোলজিজকে কাজ দেয় ইসি। তারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সব কার্ড বুঝিয়ে দিতে না পারায় নির্বাচন কমিশন বর্তমানে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির কাছ থেকে কাজটি করে নিচ্ছে। আর ফাঁকা কার্ডে তথ্য প্রবেশ করানো হচ্ছে ইসির নিজস্ব পাসোনালাইজ সেন্টারে। কার্ড প্রতি ব্যয় হচ্ছে দেড় ডলার।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছে, অবারথার ৭ কোটি ৭৩ লাখ কার্ড সরবরাহ করতে পেরেছিল। সেই মোতাবেক পূর্বের ১ কোটি ২৭ লাখ নাগরিকের কার্ড ঘাটতি ছিল। এই কয়েক বছরে ভোটার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ১৭ লাখ। সব মিলিয়ে আরও প্রায় তিন কোটির মতো কার্ড তৈরি এবং তাতে নাগরিকের তথ্য ইনপুট করে বিতরণে যেতে হবে। আর এজন্য আইডিইএ-২ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। আর এই প্রকল্পের ১ হাজার ৮০৫ কোটি টাকা অনুমোদনও দিয়েছে সরকার। ফলে কেবল নতুন ভোটারই নয়, যাদের দ্বিতীয়বার স্মার্টকার্ড প্রয়োজন, তারাও পাবেন।

এ বিষয়ে আইডিইএ প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল কাশেম মোহাম্মদ ফজলুল কাদের জানিয়েছেন, অবারথারের কাছ থেকে ৯ কোটি কার্ড পাওয়ার কথা থাকলেও আমরা ৭ কোটির কিছু বেশি কার্ড পেয়েছিলাম। আরও দুই কোটি কার্ড আমাদের হাতে নেই। ২০২৫ সালের মধ্যে নিবন্ধিত সব নাগরিককে স্মার্টকার্ড দেওয়ার জন্য আমরা সব পদক্ষেপ নিচ্ছি। - বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়