শাহিদুল ইসলাম :[২] কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কটি দিয়ে সরাসরি যাতায়াত জেলা সদরের সাথে দেবিদ্বার উপজেলার বাসিন্দাদের। এই উপজেলাটিতে একটি পৌরসভাও রয়েছে। দেশের অন্যতম ব্যস্ততম এই সড়ক পথে ব্রাহ্মনবাড়িয়া, সিলেট,হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ,ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ,নেত্রকোনার লোকজনদের সরাসরি কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী,লক্ষীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম,কক্সবাজার,বান্দরবান,রাঙ্গামাটি ,টেকনাফ ,সেন্টমার্টিন ,কাপ্তাই,খাগড়াছড়ি যাতায়াত করে।
[৩] দেবিদ্বার পৌর এলাকাধীন রেয়াজউদ্দিন সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থাকা মহাসড়কের পাশের গুরুত্বপূর্ন ড্রেনটি অজ্ঞাত কারনে দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ড্রেনটির বেশ কিছুস্থানে কোন স্লাব নেই। এতে একদিকে পানি নিস্কাশনে কোন কাজে আসছেনা,অন্যদিকে প্রায়ই দুর্ঘটনাকবলিত হচ্ছে বিভিন্ন শ্রেনীর যানবাহন। গত ১৪ ই অক্টোবর ২০২০ ইং দেবিদ্বার পৌর এলাকার পাঠানবাড়ির যুবক জাবেদ এই ড্রেনে মোটর সাইকেল নিয়ে দুর্ঘটনাকবলিত হয়ে ঘটনাস্থলেই প্রান হারিয়েছিলেন।
[৪] সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়,কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের পাশে দেবিদ্বার পৌরএলাকাধীন শিশু মাতৃ (প্রাঃ) হাসপাতাল থেকে উত্তর দিকে থানা মসজিদের কাছাকাছি একটি ড্রেন নির্মান করা হয়েছিল কয়েক বছর আগে জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য। এরফলে মহাসড়কের দুপাশও আশপাশের এলাকার বৃষ্টির পানি দ্রুত ড্রেন হয়ে সরাসরি খালে গিয়ে পড়তো।
[৫] সাম্প্রতিক সময়ে দেখা গেছে,ড্রেনটির রেয়াজউদ্দিন সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সীমানা ঘেষা অংশটির বেশ কটি স্থানে স্লাব নেই। কোনটা ভেঙ্গে গেছে,কোনটা ড্রেনের মাঝখানে পড়ে আছে। এতে স্বাভাবিক পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। সম্প্রতি বৃষ্টিতে দেখা গেছে পানি নিস্কাশন স্বাভাবিকভাবে না হওয়ায় এইস্থানটিসহ পাশের দেবিদ্বার ষ্টেডিয়াম মাঠেও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
[৬] বিভিন্ন শ্রেনীপেশার লোকজন জানান, জলাবদ্ধতা যতটা ভোগান্তির সৃষ্টি করে তারচেয়ে ভয়াভহ হচ্ছে ড্রেনের স্লাব না থাকা অংশে পড়ে গিয়ে প্রতিদিনই অসংখ্য পথচারী ও বিভিন্ন শ্রেনীর যানবাহন দুর্ঘটনাকবলিত হচ্ছে। স্থানীয় সুত্র মতে পথচারীরা যেমন এই ড্রেনের উপর দিয়ে হাটছে,তেমনি সড়কটি ও পাশে থাকা ড্রেনটি একই উচ্চতায় থাকায় অনেক সময় সাইকেল,রিক্সা,মোটরসাইকেল,ইজিবাইক,সিএনজি অটোরিক্সা চালকরা দুর্ঘটনা এড়াতে দ্রুতগতির অনেক যানবাহনকে সাইড দিতে গিয়ে ড্রেনের উপর উঠে যায়।
[৭] পরবর্তীতে স্লাব না থাকায় সেসব যানবাহন দুর্ঘটনাকবলিত হচ্ছে। এই অবস্থা পথচারীদের বেলায়ও। ফলে প্রতিদিনই স্লাব না থাকায় ঘটছে দুর্ঘটনা।দিনের পর দিন ড্রেনটির বিভিন্নস্থানজুড়ে কোথাও ভেঙ্গে পড়া বা কোথাও ড্রেনের মাঝখানে পড়ে থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এব্যাপারে কোন মাথা ব্যথাও নেই। রেয়াজউদ্দিন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক জানান, অনেক দিন ধরে এই অবস্থা ,তবুও কারো খেয়াল নেই।
[৮] এব্যাপারে জানতে চাইলে দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক জনাব রাকিব হাসান বলেন, এটি সড়ক ও জনপথের কাজ,আমরা পৌরসভা থেকে কাজ করতে গেলে অডিট ঝামেলায় পড়তে হয়। তারপরও আমি বিষযটি নিয়ে সড়ক ও জনপথের সাথে কথা বলব।
[৯] সড়ক ও জনপথের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী নাজমুল হাসান সাকিব জানান,আমি এখানে নতুন যোগ দিয়েছি,বিষয়টি আপনার কাছেই জানলাম। এই অবস্থা থেকে থাকলে আমি এখেনই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব,আপনাকে ধন্যবাদ বিষয়টি জানানোর জন্য।