তানিমা শিউলি: [২] আইইডিসিআর-এর অন্যতম উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, সময়টা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ, একটু অসাবধান হলেই সংক্রমণের হার বেড়ে যাবে। লকডাউন শিথিলের সিদ্ধান্ত বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হতে পারে। মানুষকে বোঝতে হবেÑ সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় শিথিল করা হয়নি।
[৪] আর্থ-সামাজিক, ধর্মীয় ও ঐতিহ্যগত বাধ্যবাদকতার কারণে কোনো কোনো ক্ষেত্রে শিথিল করা হয়েছে। যেহেতু রাষ্ট্রব্যবস্থা জনকল্যাণমুখী নয়, ফলে সব মানুষকে ঘরে রাখা সম্ভব নয়। সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার ঊর্ধ্বগতিতে কঠোর বিধিনিষেধ শিথিলের সিদ্ধান্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
[৫] বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা.সায়েদুর রহমান খসরু বলেন, যৌথ ব্যবস্থাপনায় স্থানীয়ভাবে টিকা উৎপাদন করা গেলে উন্নত প্রযুক্তি স্থানান্তরিত হবে এবং আমাদের সামর্থ্য বাড়বে। ভবিষ্যতে অন্যান্য টিকার ক্ষেত্রেও এটি ব্যবহার করা যাবে। টিকা আমদানির চেয়ে যৌথ
ব্যবস্থায় স্থানীয়ভাবে উৎপাদনই শ্রেয়।
[৬] যদি টিকা উৎপাদনে যৌথ ব্যবস্থাপনার জন্য আধুনিক প্রযুক্তি স্থানান্তরের প্রস্তাব আসে, তাহলে এটি ইতিবাচক আমাদের জন্য। [৭] তবে এটি দেখতে হবে যেন ব্যাকডেটেড না হয়। ভ্যাকসিন উৎপাদনে যেকোনো প্রযুক্তিগত সহায়তা গ্রহণ করা উচিত। খেয়াল রাখতে হবে সে সহায়তাটি যেন ভবিষ্যৎমুখী হয়। [৮] লকডাউন শিথিল করার সিদ্ধান্তটি বিজ্ঞানসম্মত নয়।