শিরোনাম
◈ চট্টগ্রাম বন্দরে সাইফ পাওয়ার টেকের যুগের অবসান, এনসিটির দায়িত্বে নৌবাহিনী ◈ ১ ট্রিলিয়ন ডলারের খনিজের খেলায় তালেবান, পেছনে চীন-রাশিয়া-ইরান-ভারত! ◈ পাকিস্তানকে ঠেকাতে গিয়ে ভারতে বন্যা, তোপের মুখে কঙ্গনা (ভিডিও) ◈ ৫ আগস্ট লক্ষ্য ছিল গণভবন, এবার জাতীয় সংসদ: নাহিদ ইসলাম (ভিডিও) ◈ গাজীপুরে মহানগর বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার ◈ দেশের জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় জনগণ ঐক্যবদ্ধ : মির্জা ফখরুল ◈ রেস্ট হাউজে ‘নারীসহ’ ওসি, আটক করে ‘চাঁদা দাবি’ ছাত্রদল নেতার, সিসিটিভির ফুটেজ ফাঁস ◈ আর একটি হত্যাকাণ্ড ঘটলে সীমান্ত অভিমুখে লংমার্চ: হুঁশিয়ারি নাহিদ ইসলামের ◈ ধামরাইয়ে ঋণ দেওয়ার কথা বলে গৃহবধুকে ধর্ষণ, আসামী গ্রেফতার ◈ গাজীপুরে চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেফতার বিএনপি নেতা স্বপন

প্রকাশিত : ১৪ জুলাই, ২০২১, ০৫:১৮ সকাল
আপডেট : ১৪ জুলাই, ২০২১, ০৫:১৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

খান আসাদ: তিন কারণে ভিক্টিম ব্লেমিং হয়

খান আসাদ: সহিংসতার শিকার নারীকে, নিপীড়িতকে, যাকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে তাঁকে দায়ী করা এবং ঘাতক, নিপীড়ক ও সহিংস অপরাধীকে আড়াল করার নাম ভিক্টিম ব্লেমিং। ভিক্টিম ব্লেমিং সহিংসতার শিকারকে দায়ী করার মধ্য দিয়ে, ঘাতককে, নিপীড়ককে, যৌনপীড়নকারীকে আড়াল করে, তার অপরাধ লঘু করার চেষ্টা করে। সহিংস ঘাতকের পক্ষে সহানুভূতি তৈরির চেষ্টা করে। ‘ভিক্টিমেরও দোষ আছে’, এই ধারণা দেওয়ার মধ্যদিয়ে চেষ্টা করে সহিংস ঘাতকের দোষের সমান্তরালে নিপীড়িতকে নিয়ে আসার।

তিন ধরনের কারণে, ভিক্টিম ব্লেমিং হয়। প্রথমে, অজ্ঞতা বা চিন্তার অক্ষমতা। এরা মনে করে ভিক্টিমের উপায় ছিল, বাঁচার, কিন্তু সে ইচ্ছে করে সহিংসতার শিকার হয়েছে। তাদের অজ্ঞতা এদের জাজমেন্টাল দৃষ্টিকোণের কারণে। এরা ভিক্টিমের বাস্তবতা বুঝতে চায় না। এরা অনুমান করে, ভিকটিম স্বাধীনভাবে অংশ নিয়েছে বা ঘাতককে প্রভোক করেছে। এরা ব্যক্তিকে দেখে, তাঁর সামাজিক প্রেক্ষিতকে নয়।

দ্বিতীয় কারণ মতাদর্শ, শ্রেণি বা পিতৃতান্ত্রিক মতাদর্শ। কোন নারী সহিংসতার শিকার হলে, পিতৃতান্ত্রিক নারীপুরুষ, শুরু করে, নারীর পোশাক, একা চলাচল, অসময়ে ঘরের বাইরে থাকা, প্রতারক কেন আগে চিনতে পারেনি, ইত্যাদি ইত্যাদি আলাপ দিয়ে। এরা নারীর প্রতি সহিংসতার দায় নারীর উপর চাপিয়ে দেয়।
তৃতীয়, ব্যক্তিস্বার্থ। যেমন অনেক আইনজীবী বা সাংবাদিক, শুধু টাকার জন্য, ভিক্টিম ব্লেমিং করে। এরা সচেতনভাবেই সহিংস ঘাতকের পক্ষ নেয়। এরা এদের চেতনা ও শুভবুদ্ধি দুটোই বিক্রি করে, টাকার কাছে। সামাজিক মাধ্যমে যারা ভিক্টিম ব্লেমিং করছে, তাঁদের প্রতিহত করুন। কারণ কি জানেন, এরা নারী ও শিশুর প্রতি আগামী আরেকটি সহিংস নিপীড়নের সাংস্কৃতিক বাতাবরণ তৈরি করে। এদের এখনই থামান, সর্বশক্তি দিয়ে। নারী ও শিশুদের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার জন্য।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়