রুমা মোদক: কিশোয়ারকে নিয়ে আমরা কেন এতো উত্তেজিত জানেন? কিশোয়ার মোটামুটি আমাদের ঘরে ঘরে বাঙালি নারীদের হীনমন্যতাকে আত্মবিশ্বাসের পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছেন। দেশের কয়টা রান্নার প্রতিযোগিতা কিংবা অনুষ্ঠানে আপনি এসব রান্না করতে দেখেছেন, যা আমাদের প্রতিদিনের মেন্যু? সবাইতো প্রাচ্য পাশ্চাত্যের ফিউশনে নানা নতুন কোনো রেসিপি বানিয়ে চমকে দিতেই হণ্যে। আর পৃথিবীতে অফিসিয়ালি বাঙালি খাবার বলে কোনো খাবার যে ম্যানুকার্ডে থাকে না, বাঙালি রেস্টুরেন্ট বলে যে কোনো রেস্টুরেন্ট নেই তা বৃহত্তর সিলেট বাসী থেকে বেশি কেই বা জানে!
ইংল্যান্ড আজ পাঁচ-ছয় দশক ধরে যে খাবার দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, যার অধিকাংশের মালিক সিলেটীরা, সেগুলোর নাম ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্ট। প্লেইন রাইস, স্পেস্ট পটেটোর সাবকন্টিনেন্টাল আইটেমে আমাদের বাংলার স্বীকৃতি কই? এবার যদি রেস্টুরেন্টে রেস্টুরেন্টে এই ‘ইলিশ ভাজা’, ‘মরিচ পোড়া আলুভর্তা’, ‘লাউ চিংড়ি’ বাংলাদেশি খাবার হিসেবে ম্যানুতালিকার এলিটনেস বাড়ায় তার কৃতিত্ব বোধকরি সবটুকুই কিশোয়ারের। চুলা ঠেলে, হাত পুড়ে এতোকাল আমাদের মা মাসীরা যে রান্নাকে কাজই মনে করেননি, তাদের মুখ বিশ্বদরবারে উজ্জ্বল করে দেয়ার জন্য অভিবাদন গ্রহণ করুন কিশোয়ার। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :