শিরোনাম
◈ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি: কী পাচ্ছে বাংলাদেশ, কী হারাতে পারে? ◈ রাতেই সোহরাওয়ার্দীতে জড়ো হচ্ছেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা (ভিডিও) ◈ চাপাতি হাতে ব্যাগ ছিনিয়ে পুলিশের সামনেই হেঁটে গেলো ছিনতাইকারী, ভিডিও ভাইরাল ◈ রাশিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত ভারতের বৃহত্তম তেল শোধনাগার নায়ারা রিফাইনারির ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা ◈ রাতের আকাশে ভেসে উঠলো ‘নাটক কম করো পিও’ (ভিডিও) ◈ জটিল ভয়ানক যে রোগে আক্রান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প! ◈ কুড়িগ্রামে চাঁদা দাবি করা জামায়াতের সেই নেতা সাময়িক বহিষ্কার ◈ বড়াইগ্রামে এক বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে দুই বিষয়ে দুই পরীক্ষার্থী ফেল! ◈ টাঙ্গাইলে পুলিশ হেফাজতে বিএনপি নেতার রহস্যজনক মৃত্যু ◈ এনসিপি’র মার্চ টু গোপালগঞ্জ তলিয়ে দেখা দরকার: শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি

প্রকাশিত : ১৪ জুলাই, ২০২১, ০৩:২৩ রাত
আপডেট : ১৪ জুলাই, ২০২১, ০৩:২৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রউফুল আলম: ওষুধ আবিষ্কারের জন্য চাই প্রি-ক্লিনিক্যাল স্টাডি করার মতো দক্ষ জনবল

রউফুল আলম: একটা ওষুধ তৈরির প্রধান দুটি ধাপ থাকে। প্রি-ক্লিনিক্যাল স্টাডি এবং ক্লিনিক্যাল স্টাডি। নাম থেকেই বুঝা যাচ্ছে, প্রি-ক্লিনিক্যাল স্টাডি হলো, মানুষের ওপর কোনো ওষুধ প্রয়োগের আগের ধাপ। আবার ক্লিনিক্যাল স্টাডির তিন-চারটা পর্যায় থাকে। একটা ওষুধ আবিষ্কার গড়ে দশ-বারো বছরের সময়। গড় ব্যায় প্রায় দুই বিলিয়ন ডলার। (টেকনোলজির পরিবর্তন হয়েছে। রোগের ধরন ভেদে সময় আরও কম লাগতে পারে। এক বছরের মধ্যে করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারেও সক্ষম হয়েছে মানুষ। এটা অনেক বড়ো একটা অর্জন।) প্রি-ক্লিনিক্যাল স্টাডিতে প্রচুর অর্থ ও সময় ব্যায় হয়। এবং সেই স্টাডি করার জন্য প্রয়োজন হয়, কেমিস্ট, বায়োলজিস্ট, ফার্মাকোলজিস্ট, টক্সিকলিজস্ট সহ অনেক এক্সপার্ট। আমাদের যখন ক্রস ফাংশনাল মিটিং হয়, তখন এমন বহু শাখার লোকজন একসঙ্গে বসে। একটা ওষুধ আবিষ্কার, একার কোনো কাজ নয়। সম্ভবও নয়। প্রি-ক্লিনিক্যাল স্টাডির জন্য সর্বপ্রথমেই দরকার এমন বহু শাখার এক্সপার্ট সাইন্টিস্ট। যাদের একটা স্ট্রং একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড থাকবে। একটা ট্রেনিং থাকবে। স্কিল থাকবে। এবং এই এক্সপার্ট লোকগুলো গড়ে তোলার জন্য চাই একটা পূর্ব প্রস্তুতি। একটা সংস্কৃতি। প্রি-ক্লিনিক্যাল স্টাডির সময় ইঁদুর, বানর ও কুকুর—সাধারণত এই জাতগুলো ব্যবহৃত হয়। এই প্রাণীগুলো ব্যবহারের মধ্য দিয়ে প্রচুর স্টাডি করা হয়। সেসব তথ্য সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে হয়। সেসব তথ্য FDA-কে উপস্থাপন করতে হয়।FDA যদি অ্যাপ্রুভ করে, তাহলেই সেই ওষুধ ক্লিনিক্যাল স্টাডির জন্য পাঠানো হয়। অর্থাৎ মানুষের ওপর প্রয়োগ করে স্টাডি করা হয়। তারপর আরও অনেক বিষয় আছে বিস্তারিত লিখছি না। (আফ্রিকার মানুষের ওপর ওষুধ প্রয়োগ করা হয়- এমন একটা কথা প্রচলিত আছে। এগুলো বেশিরভাগই রিউমার। ভিত্তিহীন। ওষুধ আবিষ্কার, বহু এথিকস ফলো করে করতে হয়। একটা কুকুর বা বানর মারা গেলেই, বহু ড্রাগ পরবর্তী ধাপে যায় না। সুতরাং মানুষ পর্যন্ত পৌঁছানো অনেক দূর)

FDA- হলো আমেরিকার ওষুধ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা। তেমনি ইউরোপ বা অন্যান্য দেশের জন্য আলাদা আলাদা প্রতিষ্ঠান আছে। এখন খেয়াল করে দেখুন, যে প্রতিষ্ঠান এই স্টাডিগুলোকে যাচাই-বাছাই করে অ্যাপ্রুভ করবে, সে প্রতিষ্ঠানেও চাই তেমন দক্ষ লোক। তেমন প্রশিক্ষিত লোক। সেই লোকবল যদি না থাকে, তাহলে উল্টো-পাল্টা অনুমোদন দিলে সেটা ওষুধ না হয়ে, হয়ে যাবে বিষ! ওষুধ আবিষ্কারের জন্য চাই প্রি-ক্লিনিক্যাল স্টাডি করার মতো এক্সপার্ট লোক। সেই লোকগুলো কোথা থেকে আসে? ইউনিভার্সিটি থেকে। ইনস্টিটিউট থেকে। অর্থাৎ, ইউনিভার্সিটি ও ইনস্টিটিউটে উন্নত গবেষণা আবশ্যক। সেখানেই ভালো মানের পিএইচডি- পোস্টডক তৈরি করতে হবে। তারপর, তাদের কেউ যাবে ওষুধ উদ্ভাবনের গবেষণায়। কেউ যাবে অনুমোদনের সংস্থায়। তাহলে পড়ে গড়ে উঠবে ওষুধ আবিষ্কারের সংস্কৃতি। তা না হলে, গল্প করা যাবে। বন থেকে বানর ধাওয়া করা যাবে। সংবাদপত্রে আবেগী রিপোর্ট লেখা যাবে। ওষুধ আবিষ্কার অধরা থেকে যাবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়