অপূর্ব চৌধুরী: [২] জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় রাজধানী সূত্রাপুর থানায় মামলা দায়েরের পর ১৬ দিন পার হলেও এখনো অধরাই রয়ে গেছেন মূল অভিযুক্ত। তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার দাবি ভুক্তভোগী ছাত্রী অভিযুক্তকে শনাক্ত করতে না পারায় গ্রেপ্তারে বিলম্ব হচ্ছে।
[৩] জানা যায়, গত ২৭ জুন পুরান ঢাকার কলতাবাজার এলাকায় রাত সাড়ে ৯টার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী লকডাউনের কারণে প্রয়োজনীয় বাজার নিয়ে বাসায় ফিরছিলেন। এসময় কবি নজরুল কলেজের পাশে উইনস্টন গলিতে প্রবেশ করলে নির্জন রাস্তার সুযোগে আক্রমণ করে একটি ছেলে। এসময় সেই ছাত্রীর চিৎকারে ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজের দিকে দৌঁড়ে পালায় ছেলেটি। এঘটনায় ভুক্তভোগী সেই ছাত্রী প্রথমে সূত্রাপুর থানার সাধারণ ডায়েরি ও পরে মামলা করেন।
[৪] তবে মামলা দায়েরের পর ১৬ অতিক্রান্ত হলেও মূল অভিযুক্ত গ্রেপ্তার না হওয়ায় এটি নিয়ে ক্ষোভ ও উৎকন্ঠা প্রকাশ করেছে সেই ছাত্রীর সহপাঠী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় অতি দ্রুত অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে তারা।
[৫] তবে পুলিশের দাবি মামলার পর ঘটনাস্থল ও আশেপাশের এলাকা থেকে সন্দেহভাজন অনেককে আটক করা হলেও ভুক্তভোগী ছাত্রী কাউকে শনাক্ত করতে না পারায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারে সময় লাগছে।তবে মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারে এখনো প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে ।
[৬] এ বিষয়ে সূত্রাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রহমান বলেন, ছাত্রীকে হয়রানির ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলার তদন্ত কার্যক্রম এখনো চলছে। মামলার পরেই আমরা সন্দেহভাজন কয়েকজনকে আটক করে ভিক্টিমকে দেখিয়েছি। কিন্তু সে কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি৷ ফলে একটু বিলম্ব হচ্ছে।তবে মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করার জন্য আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে।বিভিন্নভাবে আমরা এখনো চেষ্টা চালাচ্ছি।
[৭] মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সূত্রাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) সুব্রত সিং বলেন, এ ঘটনায় মামলার পরপরই ভিক্টিমের বর্ণনা অনুযায়ী ঘটনাস্থল ও আশেপাশের এলাকা থেকে সন্দেহভাজন ৮ জনকে আটক করা হয়েছিল। এছাড়া সিসিটিভির ফুটেজ দেখেও একজনকে আটক করা হয়েছিল। কিন্তু ভিক্টিম কাউকেই পুরোপুরি শনাক্ত করতে পারেনি। এবিষয়ে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে৷
[৮] জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি পুলিশের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করছি।ছাত্রীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। ছাত্রী অভিযুক্তকে শনাক্ত করতে পারলেই পুলিশ আইনের আওতায় নিয়ে আসবে।