মাছুম বিল্লাহ: [২] ভারতে গ্রেপ্তার জেএমবির তিন সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য পেয়েছে কলকাতা পুলিশের বিশেষ বাহিনী এসটিএফ। মঙ্গলবার আনন্দবাজার পত্রিকা এ নিয়ে এক সংবাদে জানিয়েছে, গত রোববার গ্রেপ্তার হওয়া তিন জেএমবি সদস্য নাজিউর রহমান ওরফে জোসেফ, মিকাইল খান ওরফে শেখ সাবির ও রবিউল ইসলাম পুলিশকে জানিয়েছে, তারা পশ্চিমবঙ্গে বোমা তৈরির কারখানা তৈরিতে সক্রিয় ছিল।
[৩] পুলিশের গোয়েন্দা-কর্মকর্তাদের বরাতে আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, আল কায়েদা ও হুজি জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে তাদের জেএমবি সদস্যদের যোগাযোগের নথি পাওয়া গিয়েছে। ওই জঙ্গিদের সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে শুরু করেছে ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা-এনআইএ।
[৪] পত্রিকাটি আরও জানায়, গ্রেপ্তারকৃতদের ১৪ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার জন্য সোমবার নির্দেশ দিয়েছে মুখ্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত। সরকারি আইনজীবী আদালতে বলেন, ‘ধৃতদের কাছে পাওয়া জেহাদি কার্যকলাপের তথ্য, লিফলেট ও পুস্তিকা দেখে মনে হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের ঘরে ঘরে বোমা কারখানা তৈরি করার প্রচার করছিল তারা।’
[৫] এসটিএফ সূত্রের বরাতে পত্রিকাটি জানায়, বছর কয়েক আগে জেএমবি-র ১৫ জনের একটি দল এ পশ্চিমবঙ্গে এসে গা-ঢাকা দেয়। ধৃত তিন জন হরিদেবপুরে ফেরিওয়ালা সেজে ঘুরত। বাকিরা জম্মু-কাশ্মীর, ওড়িশায় ঘাঁটি গেড়েছে বলে ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে। হরিদেবপুরে চার জন ছিল। শনিবারেই এক জন পালায় এবং সে-ই ছিল দলটির চালিকাশক্তি।
[৬] গোয়েন্দা কর্মতারা আনন্দবাজারকে জানিয়েছেন, নাজিউর বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবিতে ছিল। জঙ্গি কার্যকলাপের অভিযোগে বছর দশেক আগে তাকে বরখাস্ত করা হয়। সে অস্ত্রে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, বোমা তৈরিতেও সিদ্ধহস্ত। তিন জনের বিরুদ্ধেই বাংলাদেশে বিভিন্ন থানায় অভিযোগ রয়েছে।