মাহিন সরকার : [২] টি-টোয়েন্টি, টি-টেন এর পর ক্রিকেটের নতুম ফরমেট দ্যা হান্ড্রেড। মানে ১০০ বলের ক্রিকেট। তবে ক্রিকেটের এই নতুন ফরমেটে পুরনো নিয়মের অনেককিছুই থাকছে না।
[৩] সবচেয়ে বড় বিষয়, ৬ বলের পরিবর্তে এখানে ওভার গণনা করা হবে ৫ বলে। যারা ব্যাট করবেন, তাদের বলা হবে ‘ব্যাটার’।
[৪] এদিকে এই টুর্নামেন্টের মধ্যে দিয়েই প্রথমবার ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে ডিআরএস-এর ব্যবহার করা হবে।
[৫] দ্য হান্ড্রেডের নতুন ১০ নিয়মাবলী:
১ - ওভার-এর পরিবর্তে বলের মাধ্যমে ইনিংসের গতিবিধি পরিমাপ করা হবে।
২ - একজন বোলার পাঁচ বল করার পর আম্পায়াররা ‘ফাইভ’ বলে সেটিকে সম্বোধন করবে। পাশাপাশি একই দিক থেকে টানা ৬টির বদলে ১০টি বল করা হবে এবং চাইলে একজন বোলরাই সেই ১০টি বল করতে পারবেন। পাঁচ বল শেষ হলে তা চিহ্নিত করার জন্য আম্পায়রা সাদা কার্ডের ব্যবহার করবেন।
৩ - টস সবার সামনে, পিচে নাও হতে পারে।
৪ - ১০০’র মধ্যে প্রথম ২৫ বল পাওয়ার প্লে হিসেবে গণ্য হবে। পাওয়ার প্লের পর বোলিং দল পানি পানের বিরতির জন্য যে কোন সময়ে দুই মিনিটের টাইম আউট নিতে পারবে।
৫ - ক্যাচ আউটের ক্ষেত্রে নন-স্ট্রাইকার আউট হওয়া ব্যাটসম্যানকে ক্রস করে গেলেও নতুন ব্যাটসম্যানকেই স্ট্রাইক নিতে হবে।
৬ - গ্রুপ পর্যায়ে ম্যাচ টাই হলে দুই দলই এক পয়েন্ট করে পাবে। তবে নক আউট পর্বে ফলাফল ‘সুপার ফাইভ’ (পাঁচ বল)- এর মাধ্যমে নির্ধারণ কর হবে। ‘সুপার ফাইভ’-এর পরেও ম্যাচ টাই থাকলে দ্বিতীয়বার ‘সুপার ফাইভ’ হবে। তারপরেও ম্যাচ অমীমাংসিত থাকলে গ্রুপ পর্যায়ে তালিকায় ওপরে থাকা দলকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।
৭ - বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসতে চলেছে ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়মেও।
৮ - প্রথমবার ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে ডিআরএস ব্যবহার করা হবে এবং ‘নো বল’ নির্ধারণের দায়িত্ব থাকবে তৃতীয় আম্পায়ারের কাঁধে।
৯ - সম্প্রচারের কথা মাথায় রেখে প্রতিদিন দু’টি করে ম্যাচ খেলা হলেও প্রতিটি ম্যাচের জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকবে। যাতে দু’টি ম্যাচেরই সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে কোন সংঘর্ষের সৃষ্টি না হয়।
১০ - যদি কোনো দল ওভার রেটে পিছিয়ে থাকে, তাহলে সেই দলকে শাস্তির সময় থেকে সারকেলের বাইরে একটি ফিল্ডার কম রেখেই খেলতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :