কল্যাণ বড়ুয়া: [২] বাঁশখালী উপজেলার শীলকুপে মহিলা কবিরাজ ফাতেমা বেগমের (৪৩) কাছে চিকিৎসা (ডাব পড়া) নিতে আসা যুবক মো: এহেছানের এলোপাথারি কুপিয়ে গুরুতর জখম করা ফাতেমাকে চমেক হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো ৩ জন। বাঁশখালী পুলিশ ঘাতক যুবক মো: এহেছান (২৪) কে আটক করেছে।
[৩] সোমবার (১২ জুলাই) সকালে বাঁশখালীর শীলকূপ ইউনিয়নের টাইমবাজারের পশ্চিমে মোস্তাক আহমদের বাড়ীতে এ ঘটনাটি ঘটে।
[৪] এ ঘটনায় নিহত হয় মোস্তাক আহমদের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৪৩) ছাড়াও গুরুতর আহতরা হলেন ফাতেমার কন্যা পাখি আক্তার (২২), কন্যা বৃষ্টি (১০), রাবেয়া বেগম (৩৫)।এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক মো: এহছান (২৪) একই ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড মাইজ পাড়া মেহেরজান বাপের বাড়ীর মো: ইব্রাহীম এর পুত্র। বাঁশখালী থানা পুলিশ ও আহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, বাঁশখালীর শীলকূপ ইউনিয়নের টাইমবাজারের পশ্চিমে মোস্তাক আহমদের স্ত্রী'ফাতেমা বেগম হাজিরা (কবিরাজ) দেখার কাজ করে।
[৫] তার কাছে এহেছান নামের যুবকটি ফাতেমার বিগত দিনে প্রেমিকাকে পেতে তাবিজ নিয়েছিল। তাতে ফলাফল না পেয়ে তার কাছে ডাব পরা নিতে আসেন। এহেছান ফাতেমার কাছে তার ভালবাসার মেয়েটিকে পেতে ডাব পরা দিতে বললে ফাতেমা অসম্মতি জানালে মুহূর্তেই ক্ষীপ্ত হয়ে কাছে থাকা ব্যবহৃত দা দিয়ে ফাতেমাকে এলোপাতারি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে।
[৬] বাধা দিতে গিয়ে বাড়িতে থাকা ফাতেমার কন্যা পাখি আক্তার (২২), কন্যা বৃষ্টি (১০), রাবেয়া বেগম (৩৫)তিনজনকে কুপিয়ে জখম করে সে।'স্থানীয় জনগণ তাদের উদ্ধার করে বাঁশখালী হাসপাতালে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা করার পর জরুরী ভিত্তিতে চমেক হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় বলে জানান তার ছেলে বাদশা ।
[৭] বাঁশখালী থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সফিউল কবীর বলেন, সংঘটিত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ সুপার (দক্ষিণ), সার্কেল আমি সহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে । লাশ পোষ্ট মার্ডামের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার জড়িত যুবককে আটক করা হয়েছে , মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে তিনি জানান । সম্পাদনা: অনন্যা আফরিন