সুজন কৈরী: [২] চাকরিরত অবস্থায় মারা যান সেনাবাহিনীর এক সদস্য। মৃত্যুর আগে চাকরিসূত্রে পাওয়া সুবিধাদি ও সামান্য সঞ্চয় দিয়ে জমি কিনেন দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট থানা এলাকায়। ছোট ওই জমিতে একটি ঘর তুলে দুই সন্তানকে নিয়ে থাকেন সেনা সদস্যের বিধবা স্ত্রী। কিন্তু জমিটি দখলের পাঁয়তারা শুরু করে প্রভাবশালী একটি মহল। স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের ক্ষমতায় আশপাশের লোকজনকে বলেও এ বিষয়ে বিধবা নারী প্রতিকার পাননি। দুই সন্তানকে নিয়ে ভয়ের মধ্যে থাকতেন সবসময়।
[৩] কোনো পথ না পেয়ে পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংয়ের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জানান ওই নারী। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তার পাশে দাঁড়ায়। পুলিশের হস্তক্ষেপে সেনা সদস্যদের বিধবা স্ত্রী ও তার দুই সন্তান ওই প্রভাবশালী মহলের হাত থেকে রক্ষা পায়।
[৪] রোববার বিকেলে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) মো. সোহেল রানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওই নারীর অভিযোগ পাওয়ার পর ঘোড়াঘাট থানার ওসি আজিম উদ্দিনকে বিষয়টি জানানো হয়। থানা পুলিশ স্থানীয় চেয়ারম্যান, অন্যান্য জনপ্রতিনিধি ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে অভিযুক্ত প্রভাবশালীদের সঙ্গে বসে।
[৫] এ সময় প্রভাবশালীরা জমির মালিকানা দাবি করলেও তার স্বপক্ষে গ্রহণযোগ্য কোনো দালিলিক প্রমাণ দেখাতে পারেনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই নারীকে কোনো ধরনের হয়রানি না করতে অভিযুক্তদের নির্দেশ দেওয়া হয়। ভবিষ্যতে ভুক্তভোগীদের কোনো প্রকার হয়রানি বা তাদের কোনো ক্ষতি করার চেষ্টা করা হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে মুচলেকা নিয়ে অভিযুক্তকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির জিম্মায় দেওয়া হয়। এ সময় পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে বিধবা নারী ও তার দুই সন্তান।
[৬] বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পুলিশ জমির মালিকানা নির্ধারণের কাজ করে না। তবে এ সংক্রান্ত ফৌজদারি বিষয়াদির ক্ষেত্রে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে।