শাহীন খন্দকার : [২] রোববার (১১ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আয়োজিত ভার্চুয়াল বুলেটিনে ভ্যাকসিন বিষয়ক কর্মশালা শেষে ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ডা.শামসুল হক এ কথা বলেন।
[৩] তিনি বলেন, কেন্দ্র পরিবর্তন করে এখন আর টিকা নেওয়ার ব্যবস্থা থাকছে না, এটা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। যার যে কেন্দ্র রয়েছে, সেই কেন্দ্র থেকেই মোবাইল ফোনে এসএমএস দেওয়া হবে। রেজিস্ট্রেশন খুলে দেয়া হয়েছে। ৩৫ বছরের ঊর্ধ্বে যে কেউ টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন। নিবন্ধনের পর এসএমএস দেয়া হবে। তারপর নির্দিষ্ট দিনে কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে হবে।
[৪] ডা. শামসুল হক বলেন, যদি কেউ নির্দিষ্ট দিনের আগে অথবা পরে টিকা নিতে চেষ্টা করেন, তাহলে সবচেয়ে বড় সমস্যা হবে টিকা নেওয়ার তথ্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য ভাণ্ডারে যাবে না। সেটি তথ্য ভাণ্ডারে না গেলে টিকার দ্বিতীয় ডোজ এবং টিকার সার্টিফিকেট পেতে সমস্যা হবে। এ বিষয়টি সবাইকে মনে রাখতে হবে।
[৫] তিনি বলেন, ফাইজারের পর মডার্নার টিকা দেয়া হবে, এর আগে কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় দেশে ফাইজার বায়োএনটেকের এক লাখ ৬০২ ডোজ টিকা এসেছে। ঢাকার চারটি মেডিক্যাল কলেজ ও তিনটি বিশেষায়িত হাসপাতালে এ টিকা দেয়া হচ্ছে। এই সাত হাসপাতালে ফাইজারের টিকাই দেয়া হবে। ফাইজারের টিকা শেষ হয়ে যাওয়ার পর সেখানে মডার্নার টিকা দেয়া শুরু হবে। তবে ঢাকার এই সাত হাসপাতাল বাদে বাকি যে ৪০টি টিকাদান কেন্দ্র রয়েছে, সেখানে ১৩ জুলাই থেকে মডার্নার টিকা দেয়া শুরু হবে।
[৬] প্রবাসী শ্রমিক সৌদি আরব এবং কুয়েতসহ অন্যান্য দেশেও মডার্নার টিকা গ্রহণ করা হচ্ছে। তাই প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুরোধ, ঢাকার সাতটি কেন্দ্র ছাড়া ঢাকা শহরের অন্যান্য টিকাদান কেন্দ্র এবং দেশের ১২ সিটি করপোরেশন এলাকায় কেন্দ্র বাছাই করবে। তাহলে টিকা নিতে প্রবাসী শ্রমিকদের এখন যে ভোগান্তি হচ্ছে, সেটা আর বলেন।
[৭] তিনি আরও বলেন, অনেক বিদেশগামী শিক্ষার্থী রয়েছেন, যাদের জন্য টিকা প্রয়োজন, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে। কীভাবে তারা টিকা নিতে পারবেন, সে বিষয়ে নির্দেশনা তৈরির চেষ্টা চলছে। সম্পাদনা: মিনহাজুল আবেদীন